নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: গত সপ্তাহেই বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেয়েছেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। কিন্তু তবুও তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার মাহি তাঁর আসনের গোদাগাড়ী উপজেলায় গিয়েছিলেন। সেখানে যেতেই তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু অভিনেত্রী বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি বলে দাবি করেন। ফেসবুক লাইভে এসে মাহি বলেন, ‘আমি সবার উদ্দেশে বলতে চাই— ফেসবুকে আমি একটি পোস্ট করেছি। যেখানে ক্যাপশনে লেখা— গোদাগাড়ী উপজেলা, চরআষাঢ়দহ ইউনিয়ন, রাজশাহী ও শেষে ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩। মূলত গোদাগাড়ী উপজেলার চরআষাঢ়দহ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম আমি। এটি বিচ্ছিন্ন একটি গ্রাম। সেখানের কেউ আমাকে চেনে না। আমি তাদের সঙ্গে পরিচিত হতেই সেখানে গিয়েছিলাম। তবে সেখানে গিয়ে আমি কোনো ভোট চাইনি। আমি যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চাইব, আমার তো কোনো প্রতীকই নেই। আমি কীভাবে ভোট চাইব?’
সঙ্গে মাহি তাঁর ফেসবুকে জুড়ে দেন বেশ কিছু ছবি। এরপরেই বিতর্কের মুখে পড়েন অভিনেত্রী। আজ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শোকজের জবাব দিতে আদালতে যান রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহি। রাজশাহী যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু সাঈদের আদালতে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দেন মাহি। আসন্ন দ্বাদশ বাংলাদেশের সাংসদ নির্বাচনে একের পর এক মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েও বাদ পড়ছিলেন ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির চর্চিত নায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েও কাজের কাজ হয়নি। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও মনোনয়নপত্র পাননি মাহি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৩০০ সংসদীয় আসনে দল মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে মাহিয়া মাহির নাম ঘোষণা করেননি। আসলে এবার বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে রাজনীতির বাইরে কাউকে মনোনয়নপত্র দেয়নি আওয়ামী লীগ।
সুতরাং স্পষ্ট ছিল যে, মাহি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না হওয়ার কারণে দলীয় মনোনয়ন পাননি। কিন্তু তবুও হাল ছাড়েননি অভিনেত্রী। দিন কয়েক আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে রাজশাহী-১ আসনের জন্য আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটাও হাতছাড়া হয়। অভিনেত্রীর সাক্ষরের ক্ষেত্রে কিছুটা গন্ডগোল হওয়ার দরুণ তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়। তাও হাল ছাড়েননি। মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করেছিলেন তিনি।