নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা চলচ্চিত্র মহলের দুই বিখ্যাত অভিনেত্রী, বর্তমানে হুগলী জেলার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। রাজনীতি ঢুকে গেল বন্ধুত্বে। একজন তৃণমূলের প্রার্থী, অন্যজন বিজেপির প্রার্থী। অভিনয়ে তাঁরা বন্ধু হলেও কিন্তু রাজনীতির ময়দানে বিপরীত মেরু। সব বন্ধুত্ব এখন শত্রুতে পরিনত! জনসংযোগে গিয়েই একে অপরের উদ্দেশে আক্রমণ শানাচ্ছেন। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে, তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। এককালে দুজনে একসঙ্গে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। কোথাও হয়েছেন ননদ-বৌদি আবার কোথাও হয়েছেন দুই জা। কিন্তু বুধবার রাজনীতি মুডে নয়, বরং দুজনেই অভিনেত্রীর মুডে ধরা দিলেন। সৌজন্যে তাদের মন্তব্য। যেখানে স্পষ্ট তাঁদের পুরোনো বন্ধুত্বের কথা।
প্রথমে স্মৃতিমেদুর রচনা বলেন, লকেটের সঙ্গে তাঁর অনেক ভাল স্মৃতি রয়েছে। বন্ধুত্ব মেজাজেই লকেটকে দেখতে চান তিনি। অন্যদিকে রাজনীতির বাইরে সম্পর্ক ভাল রাখার আশ্বাসই দিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। শুটিং সেটে তুই করে ডাকতেন রচনা লকেটকে আর তুমি বলে ডাকতেন লকেট রচনাকে।কিন্তু ক্যামেরার বাইরে মানুষের জন্যে কাজ করা অনেক বেশি কঠিন বলে বিশ্বাস করেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট।বুধবার হুগলির চুঁচুড়াতে প্রচারে নেমেছিলেন, তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থী দুজনাই। সেখানে বিরোধী লকেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন রচনা। দু’জনে অনেক ভাল ভাল ছবি করেছেন! এখনও তাঁদের গল্প শেষ হতে না হতে সারা রাত কেটে যাবে। সিনেমার সেটে তাঁদের মধ্যে ‘বন্ডিং’ ভীষণ ‘স্ট্রং’ ছিল। সেটে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, লাবনী সরকার, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রঞ্জিত মল্লিক সবার একটা গ্রুপ ছিল। দারুণ আড্ডা জমত। প্রসেনজিৎ হারমোনিয়াম বাজাত লকেট গান করত, আর তিনি তবলা বাজাতেন।
তাই লকেটের দেওয়া এই স্মৃতিগুলো সযত্নে নিজের কাছে রাখতে চান রচনা। অন্যদিকে রচনা প্রসঙ্গে লকেট বলেন, রাজনীতির বাইরে তিনি বন্ধু, কোনও সাংসদ নন। তাঁদের অনেক হাসি মজার স্মৃতি রয়েছে। বুম্বাদার কাছে লকেটের পরিচয় সাধারণ মেয়ে হিসেবে। তাই আজ সাংসদ, কাল কী হবে সেটা অজানা। ১০ বছর অভিনয় ছেড়েছেন, কিন্তু যোগাযোগ রয়েছে সবার সঙ্গে। তাই ব্যক্তিগত জীবনে তিনি রাজনীতির কোনও আঁচ রাখতে চান না।