নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের বিগ বি তিনি আবার শেহনশাহ। প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন অমিতাভ বচ্চন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে কয়েক শো ব্লকবাস্টার ছবির নাম। আর এই পাঁচদশক সময়কালে অনেক নিম্নমুখী এবং উচ্চমুখী অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন নায়ক। একসময় তাঁর উপর থেকে মানুষ বিশ্বাসও হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু তবুও ভারতের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র তারকা তিনি। তবে তিনি প্রায়শই স্বীকার করেন যে, স্টারডম বদলাতে থাকে প্রতিনিয়ত। তিনিও নিজেকে তিনি প্রতি মুহূর্তে পর্যালোচনা করেছেন।
১৯৮০ দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন যখন নিজের একটি নতুন পরিচয় তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন, তখন বলিউডের সিনেমাগুলি বদলাচ্ছিল। তবে দর্শকরা অমিতাভের এক নস্টালজিক নামও দিয়েছিলেন, ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’, যে ট্যাগটি এখনও বর্তমান। অমিতাভের ব্যক্তিত্ব, অভিনয়ের দক্ষতা আজও সব্বাইকে মুগ্ধ করে। তবে তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের যখন উত্থান শুরু হয়, তখন একেকটা টপক্লাস নায়কের দাপট শুরু হয়। আর সেই সময়েই ‘লাভ 86’-এর মাধ্যমে সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র তারকা হয়ে ওঠেন গোবিন্দা। বলিউড পায় নতুন নায়ককে। এমনকি গোবিন্দা জাতির হার্টথ্রব হয়ে ওঠে। অমিতাভ এবং গোবিন্দাকে একসঙ্গে অনেকগুলি চলচ্চিত্রে দেখা গিয়েছে। যার মধ্যে একটি ছিল, পরিচালক মুকুল আনন্দের হাম। এই ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন অমিতাভ-গোবিন্দা। এছাড়াও এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছিলেন রজনীকান্তও।
একবার এই ছবির শ্যুটিংয়ের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বচ্চন স্মরণ করেছিলেন যে, ছবির শ্যুটিং চলাকালীন একদল বাচ্চা তাঁদের কাছে এসে একজনের অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন। তখনই ঘটে সেই কান্ড। মুভি ম্যাগাজিনকে অমিতাভ বলেছিলেন, “আমি গোবিন্দের সঙ্গে হামের শ্যুটিং করছিলাম যখন একদল ছোট বাচ্চা আমার কাছে এসেছিল এবং একটি ছেলে অটোগ্রাফ চেয়েছিল। গোবিন্দ আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। সেখানে একটি অল্পবয়সী, কিউট মেয়ে ছিল ওই ছেলেটিকে চড় মেরে বলেছিল, অমিতাভ নয়, গোবিন্দার অটোগ্রাফ নাও।’ বিগ বি তখন স্বীকার করেছিলেন যে, “আমি ভুল করেছি এবং চলচ্চিত্রের পর চলচ্চিত্রে আমার অভিনয় সংশোধন করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। কিন্তু তখনই ছোটদের রাজত্ব শুরু হয়ে গিয়েছিল। অস্বীকার করার কিছু নেই যে, এখন ছোট ছেলেদের পালা, কারণ আজকের দর্শকদের বয়স 18 থেকে 30 এর মধ্যে।”