আন্তর্জাতিক: মারকানা স্টেডিয়াম।
বিশ্বের যে কটি স্টেডিয়ামকে ঐতিহাসিক বলে ধরে নেওয়া হয়, মারকানা স্টেডিয়াম তাঁর মধ্যে অন্যতম। ১৯৫০-য়ের বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছিল এই স্টেডিয়ামে। চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উরুগুয়ে। সেই ফাইনাল দেখতে হাজির হয়েছিলেন ১৯,৯৮৫৪ জন। সেটাও একটা রেকর্ড। বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল দেখতে স্টেডিয়ামে এত মানুষের উপস্থিতি সেটাই প্রথম। সেই রেকর্ড আজও অক্ষত রয়ে গিয়েছে। এমন একজনও ফুটবল তারকা নেই যার পা এই স্টেডিয়ামে পড়েনি। খেলেছেন মারাদোনা, মেসি, পেলে, রোনাল্ডডিনহো।এই স্টেডিয়াম সাক্ষী একাধিক ঘটনার।
আর এই স্টেডিয়ামে এক যুগল কোনওরকমে ঢুকে পড়ে। তাদের সঙ্গে ছিল এক ক্যামেরাম্যান। খোলা আকাশের নীচে যুগল সঙ্গমে লিপ্ত হয়। আর তাদের সেই সঙ্গম দৃশ্য ক্যামেরায় রেকর্ড করা হচ্ছিল। কোনও কারণে স্টেডিয়ামের এক কর্মী মাঠের ভিতর ঢুকে পড়েন। ওই কীর্তি দেখে তাঁর চোখ কপালে। ক্যামেরাম্যান, ওই যুগলকে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেন। একপ্রকার ভাগ্যের জোরে তারা বেঁচে গিয়েছেন। না হলে তাদের কাঠগড়ায় ওঠার কথা ছিল।
মারকানা স্টেডিয়াম নিয়ে আরও একটি খবর রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ব্রাজিলেও করোনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী নিভৃতবাস। এই মারকানা স্টেডিয়ামেও তৈরি করা হয় অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার। এই স্টেডিয়াম দীর্ঘদিন ধরেই অযত্নে পড়েছিল। চাঙর ভেঙে পড়তে শুরু করে। একসময় তা ভেঙে ফেলা হবে বলেও ঠিক করা হয়।
আরও পড়ুন বিশ্বকাপের দর্শক ভিড়ে ভারতের কাছে হার আমেরিকার