নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে ভাঙচুরের মামলায় শেষ পর্যন্ত স্বস্তি মিলল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। সোমবার রাতে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার পরে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ সুপ্রিমোর গ্রেফতারির উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে লাহোর হাইকোর্ট। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ওই দিন পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না।
গত অক্টোবরে তোষাখানা মামলায় তথ্য গোপনের অভিযোগে ইমরান খানের সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পোষা ভৃত্য হিসেবে পরিচিত নির্বাচন কমিশন। ওই নির্দেশের প্রতিবাদে কমিশনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের নেতা-কর্মীরা। নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাথরও ছোড়া হয়। আর তার পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কাজকর্মে মদত দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই মামলায় গ্রেফতারির আশঙ্কা করে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানিয়ে লাহোর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের প্রধান।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানিতে লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আগাম জামিন পেতে গেলে অবশ্যই আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে ইমরান খানকে। সোমবার সকালে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণে স্থগিত রাখতে হয়। শেষ পর্যন্ত বিকেল পাঁচটার মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশের পরেই জামান পার্কের বাড়ি থেকে হাইকোর্টের উদ্দেশে রওনা হন ইমরান। কিন্তু আদালত চত্বরের বাইরে কয়েক হাজার পিটিআই কর্মী-সমর্থকের ভিড়ে প্রায় ঘন্টা দুয়েক আটকে থাকে তাঁর গাড়ি। শেষ পর্যন্ত সাড়ে সাতটা নাগাদ এজলাসে হাজির হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে বিচারপতি আলি বাখার নাজাফি।