নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৮ বছর পরে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার একটি বিবৃতিতে ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি (ডারপা)-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশী গতি সম্পন্ন হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।
ওই সংস্থার তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৩-এর পর এই প্রথম হাইপারসনিক শ্রেণির অস্ত্রের পরীক্ষা চালাল যুক্তরাষ্ট্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে রেথিওন টেকনোলজিস অ্যান্ড নরথপ গ্রুম্যান। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি গতিতে চলে। ঘণ্টায় এর গতিবেগ প্রায় ৬২০০ কিলোমিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষা করার সময় একটি যুদ্ধবিমানের সহায়তা নেওয়া হয়। যুদ্ধবিমানের উইং থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়। এর এক সেকেন্ডের মধ্যে একটি রকেট বুস্টারের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিবেগ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে গতি পায় অস্ত্রটি। তার ঠিক এক সেকেন্ডের মাথায় ক্ষেপণাস্ত্রটির মধ্যে লাগানো আরেকটি ইঞ্জিন চালু হয়। যা এর গতিবেগ শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি বাড়িয়ে দেয়। বলা হয় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি এই শতাব্দীর সবথেকে আধুনিক অস্ত্র।এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোনও দেশেই হাইপারসনিকের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাইয়ে রাশিয়াও এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছিল। সাংবাদিকদের সামনে এসে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন নিজে বলেছিলেন, হাইপারসনিক এই প্রজন্মের সব থেকে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।