আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হিজাব না পরার অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে থাকা এক তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তপ্ত ইরান। সে দেশের বিভিন্ন মানবাধিকর সংগঠনের তরফ থেকে কড়া ভাষায় এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। দাবি উঠেছে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির। চাপের মুখে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
হিজাব না পরার অপরাধে ২২ বছরের মাশা আমিনিকে পুলিশ রাস্তা থেকে আটক করে। তাকে রাখা হয়েছিল পুলিশ লকআপে। অভিযোগ, মাশা আমিনির ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় পুলিশ। হেফাজতে থাকাকালীন মাশা আমিনি কোমায় চলে যায়। পুলিশের দাবি, মাশা গ্রেফতার হওয়ায় আগেই সে অসুস্থ ছিল। হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর ওপর কোনও ধরনের অত্যাচার বা শারীরিক নির্যাতন হয়নি। যদিও পরিবারের দাবি, লকআপে আটকে রেখে পুলিশ তাঁর ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। পুলিশি অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাশা কোমায় চলে যায়। হাওয়া বেগতিক দেখে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকের তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানী তেহরানে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় মাশা ইরানিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অভিযোগ, মাশা মুখ উন্মুক্ত ছিল, যা ইরানের ঐতিহ্যের পরিপন্থী। তবে গ্রেফতার এবং হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া – এই মধ্যবর্তী সময়ে কী হয়েছিল, সে ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে হিজাব না পরার অভিযোগে রাস্তা থেকে কাউকে পুলিশের তুলে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।