আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন নিয়ে ফের রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার ঠাণ্ডা লড়াই তুঙ্গে উঠেছে। ইউক্রেনকে আক্রমণের পথে গেলে খোদ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার পাল্টা হিসেবে শুধু আমেরিকাকেই নয় ন্যাটো জোটকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া ও চিন। ‘ঠাণ্ডা যুদ্ধের’ রাস্তা পরিত্যাগ করতে ন্যাটো জোটের নেতাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিন থেকেই চিনের রাজধানী বেজিংয়ে শুরু হয়েছে শীতকালীন অলিম্পিকের আসর। আর ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মস্কো থেকে বেজিং উড়ে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অলিম্পিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠকে বসেন তিনি। ওই বৈঠকের পরে বিশ্বের অন্যতম দুই শক্তিধর দেশের শীর্ষ নেতার পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। ওই বিবৃতিতে ন্যাটোর আগ্রাসন নীতির সমালোচনা করা হয়েছে। আমেরিকা সহ পশ্চিমী দেশগুলিকে সবক শেখাতে তাইওয়ান ও হংকং নিয়ে চিনের পাশেই দাঁড়িয়েছে রাশিয়া।
চিন ও রাশিয়ার বন্ধুত্ব আমেরিকা ও তার বান্ধব দেশগুলির পক্ষে ভয়ঙ্কর হুমকির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদ এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তবে এই প্রথম নয়, আট বছর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া নিয়ে নেওয়ার পর আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলো যখন রাশিয়ার উপরে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তখন বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিল চিন। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মস্কোর সঙ্গে চারশো’ বিলিয়ন ডলারের (৪০,০০০ কোটি ডলার) চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল চিন। ওই চুক্তিই রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভরাডুবি থেকে বাঁচিয়েছিল।