নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চলতি মাসেই ভারতে আসতে পারেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই আই। ২০২০ সালের লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় এবং চিনা সেনাদের মধ্যে হওয়া সংঘাতের পরে এই প্রথম ভারত সফরে আসছেন চিনের কোনও মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, চলতি মাসের শেষের দিকেই হতে পারে বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই আই-এর এই বিদেশ সফর। সেই সঙ্গে জানা যাচ্ছে, ভারতে আসার আগে তিনি নেপালে যেতে পারেন। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, ভারত এবং চিনের মধ্যেকার লাদাখ পরিস্থিতি সমাধানের জন্য সামরিক পর্যায়ে আলোচনা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি এই দুটি দেশ। তার মাঝেই জানা গেল চিনের বিদেশমন্ত্রীর আগমনের এই খবর।
২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চিনের সেনাদের মধ্যেকার সংঘাতের কারণে ক্রমশ জটিল হয়েছে এই দুই দেশের মধ্যেকার কূটনৈতিক সম্পর্ক। লাদাখের পরে অরুণাচল প্রদেশেও একাধিকবার বিরোধে জড়িয়েছিল এই দুই দেশের সেনা। কিন্তু সম্প্রতি চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, চীন এবং ভারত সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে “কিছু বিপত্তির” সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু ‘ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত’ ভাবে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার নিস্পত্তির জন্য সীমান্ত ইস্যুতে দুই দেশকেই আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানান তিনি। ওই সময়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আঙুল তুলে বলেছিলেন, বেশ কিছু এমন শক্তি আছে যারা সবসময় চিন এবং ভারতের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চেয়েছে। সীমান্ত ইস্যুতে চিনের বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চিন ও ভারতের সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন কিছু বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে যা দুই দেশ এবং দুই জনগণের মৌলিক স্বার্থ পূরণ করতে ব্যাহত হয়েছে। বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই পরিষ্কার হয়েছিল যে, সীমান্ত ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে মধ্যস্থতায় আসতে চাইছে চিন। তবে সেই কারণেই বিদেশমন্ত্রীর এই ভারত সফর কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ মে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদ এলাকায় প্রথম সংঘর্ষে জড়ান ভারত এবং চিনের সেনা আধিকারিকরা। এর ঠিক কয়েকদিন পরেই ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে এই দুই দেশের সেনা জওয়ানদের মধ্যে। এই সংঘাতের জেরে ভারতের ২০ জন সেনা এবং চিনের ৪ জন সেনার মৃত্যু হয়। পরে অবশ্য অন্যদ একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছিল যে ৪ নয় গালওয়ান উপত্যকার ওই সংঘর্ষে আসলে ৪২ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে।