নিজস্ব প্রতিনিধি : চুইংগামই ধরিয়ে দিল ১৯৮০ সালের খুনের মামলায় মূল অভিযুক্তকে। অভিযুক্তের ফেলে দেওয়া চুইংগামের টুকরো পরীক্ষা করে গোয়েন্দারা তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
জানা গিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তের নাম রবার্ট প্লাম্পটন। ১৯৮০ সালের ১৫ জানুয়ারি ১৯ বছর বয়সি বারবারা টাকারকে প্রথমে অপহরণ করা হয়। এরপর তাঁকে যৌন নির্যাতন করা হয়। তারপর তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। বারবাবা টাকার মাউন্ট উড কলেজের ছাত্রী ছিলেন। কলেজ ক্যাম্পাসের কাছ থেকে বারবারার দেহ উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত বারবারার খুনের পিছনে কে দায়ী, সেটা ধরে ফেলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
জানা যায়, রবার্টই যে বারবারা টাকারকে খুন করেছে, গত সপ্তাহে তা নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও রবার্টের আইনজীবী স্টিফেন হাউজ ও জেকব হাউজ জানিয়েছেন, তাঁদের মক্কেল আদৌ দোষী নন। এই বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। রবার্টই যে দোষী, সেকথা কিভাবে বুঝতে পারলেন তদন্তকারীরা। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির তরফে জানানো হয়েছে, ২০০০ সালে বারবারা টাকারের অটোপসি পরীক্ষার সময়ে তাঁর ভ্যাজিনাল সোয়াব নেওয়া হয়। এরপর সেটি পরীক্ষার জন্য ওরেগন স্টেট পুলিশের ক্রাইম ল্যাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই সোয়াব পরীক্ষা করে একটি ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছিল।‘ ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জানান, রবার্টের ফেলে দেওয়া একটি চুইংগাম পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেন গোয়েন্দারা। তারপর সেটিকে পরীক্ষা করা হয় ক্রাইম ল্যাবে। দেখা যায়, চুইংগাম থেকে যে ডিএনএ প্রোফাইলটি তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে টাকারের ভ্যাজিনাল সোয়াব থেকে পাওয়া ডিএনএ প্রোফাইল মিলে গিয়েছে। ইতিমধ্যে রবার্টকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আগামী জুন মাসে এই মামলার শুনানি রয়েছে। আদালত শেষ পর্যন্ত কি রায় দেয়, এখন সেটাই দেখার।