আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ যেদিন, সেইদিন মেয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা গ্র্যাজুয়েশনের। মেয়ের পরীক্ষার থেকেও বাবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ। বাবার ইচ্ছে, পরীক্ষা যেভাবেই হোক বাতিল করতে হবে। প্রয়োজনে অভিভাবকেরা সমবেতভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানাবে।
ওই কথা শুনে মেয়ে বাবাকে পাল্টা বলে, কোনওভাবেই পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। দীর্ঘদিনের আলোচনার পর দিন ধার্য করা হয়েছে। আর একটি ম্যাচের জন্য গ্র্যাজুয়েশনের মতো পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া যাবে না। বিশ্বকাপ চলবে এক মাস ধরে। এই এক মাসে গুরুত্বপূর্ণ আরও ম্যাচ রয়েছে। তাহলে কোনওকালই গ্র্যাজুয়েশনের পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
মেয়ের জবাব পেয়ে বাবা মুখে ওপর জানিয়ে দেয়, পরীক্ষা থাকলেও তারা কিছু করার নেই। তাঁকে ম্যাচ দেখতেই হবে। ব্যাপারটা শুধু দুইয়ের কথাবার্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তাদের কথোপকথন। যা দেখে নেটপাড়া রীতিমতো বিস্মিত। সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রশ্ন, বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতি কম-বেশি আগ্রহ সকলের থাকে। তাই, বলে ম্যাচ দেখার জন্য পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দেওয়ার আবদার এককথা নজিরবিহীন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল দুইয়ের কথোকথন। পরীক্ষার খবর শুনে মেয়েকে বাবা বলে, আমি তোমার জন্য সব কিছু করতে পারি। চাইলে কিডনিও দিতে পারি। কিন্তু ম্যাচ না দেখার অনুরোধ জানিও না। তোমার পরীক্ষার থেকেও এই ম্যাচ আমার কাছে বেশি।
আরও পড়ুন পোষ্য কামড়ালে ১০ হাজার টাকা গুনাগার মালিকের, নয়া নিয়ম নয়ডায়