আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনসের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বৃহস্পতিবার শপথ নিলেন দেশের প্রাক্তন স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের (Ferdinand Marcos) পুত্র ফার্দিনান্দ ‘বংবং’ মার্কোস জুনিয়র (Ferdinand Marcos Jr) । শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নিজের বাবা ফার্দিনান্দ মার্কোস (Ferdinand Marcos Jr) ও মা ইমিলদা মার্কোসের (Imelda Marcos) প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি নয়া প্রেসিডেন্ট দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন, নাগরিকদের স্বার্থেই নতুন সরকার সব ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে। বংবংয়ের হাত ধরে টানা ৩৬ বছর ফের দ্বীপরাষ্ট্রটির শাসনক্ষমতা ফিরল প্রভাবশালী মার্কোস পরিবারের হাতে।
১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ফিলিপাইনের শাসনক্ষমতায় ছিলেন কুখ্যাত স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোস (Ferdinand Marcos)। তাঁর সময়ে কার্যত নরক যন্ত্রণা ভো করতে হয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্রটির বাসিন্দাদের। সরকারের জনবিরোধী নীতির সমালোচনা করতে বহু মানুষকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। একাধিক বিরোধী নেতাকে খুনও হতে হয়েছিল। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে এক হাজার কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছিল মার্কোসের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর স্ত্রী তথা তৎকালীন ফার্স্ট লেডি ইমিলদা মার্কোসের (Imelda Marcos) বিরুদ্ধে তিন হাজার জোড়া জুতার রাখার ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পরে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত ১৯৮৬ সালে সাধারণ মানুষের গণ আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ফিলিপাইনসের ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত শাসক।
কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় যে ফার্দিনান্দ মার্কোসের অপশাসনের বিরুদ্ধে তিন যুগ আগে রাস্তায় নেমেছিলেন ফিলিপাইনসের সাধারণ মানুষ, গত ৯ মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর ছেলে বংবং মার্কোসকে আগামী ছয় বছরের জন্য নিজেদের ভাগ্যদেবতা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তেকে (Rodrigo Duterte) সরিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও ক্ষমতা হারানোর জন্য সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচারকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনি।