নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ক্রমশই তলানিতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই গাড়ি-মোবাইল সহ বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। শ্রীলঙ্কার মতো যাতে দেউলিয়া না হতে হয় তার জন্য বন্ধু দেশগুলির কাছে ভিক্ষাপাত্র হাতে দাঁড়িয়েছে পাক সরকার। আমেরিকা, চিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন শাহবাজ মন্ত্রীরা। পরিস্থিতি যখন ক্রমশই সঙ্গীন তখন বন্ধুর মতো পাশে এসে দাঁড়াল সৌদি আরব। পাকিস্তানকে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন সৌদির অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল জাদান। মূলত বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার যাতে শূন্য হয়ে না পড়ে তার জন্য এই সাহায্য বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুসলিম দেশ হিসেবে বরাবরই পাকিস্তানের পাশে দাঁরিয়েছে সৌদি আরব। গত বছর ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ভাণ্ডার স্থিতিশীল রাখতে ৩০০ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য দিয়েছিল সৌদি সরকার। কিন্তু তাতেও দেশের আর্থিক পরিস্থিতির কোনও উন্নতি ঘটেনি। বরং সময় যত গড়াচ্ছে ততই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি রুপির দাম প্রথমবারের মতো দুশোর গণ্ডি ছাড়িয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে অবশ্য বিদেশি পণ্য আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কিন্তু খাদ্যদ্রব্য আমদানির জন্য বিদেশি মুদ্রার ভাঞ্ডার ক্রমশই শেষ হয়ে আসছে। ফলে সিঁদূরে মেঘ দেখছেন পাক প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। সৌদি আরব থেকে পাওয়া তিনশো কোটি ডলার শাহবাজ সরকারকে অন্তত কিছুটা স্বস্তি দেবে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।