আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটা যত গড়াচ্ছে ততই ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের শঙ্কা বাড়ছে। আর ওই যুদ্ধের আঁচ যাতে দেশের নাগরিকদের গায়ে না লাগে তার জন্য আমেরিকা, ভারত, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ বিশেষ ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। সেই তালিকায় যুক্ত হল ফ্রান্সও। শুক্রবার ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েক দেশে আপাতত ভ্রমণ না করার জন্য নাগরিকদের নিষেধ করা হয়েছে।
শুক্রবার ফরাসি বিদেশ মন্ত্রী স্টিফেন সের্জন এক বিবৃতিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নাগরিকদের আপাতত ইরান, লেবানন, ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্টদূত-সহ দূতাবাসের আধিকারিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দ্রুত তেহরান ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ফরাসি বিদেশ মন্ত্রক। একের পর এক দেশ যেভাবে নাগরিকদের ইরান ও ইজরায়েল ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করে চলেছে তাতে স্পষ্ট পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়।
‘ওয়াশিংটন স্ট্রিট জার্নাল’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ইজরায়েলে ইরান আক্রমণ চালাতে পারে বলে তেল আভিভকে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। যদিও ‘পাগলাটে’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইজরায়েলকে রক্ষা করার জন্য সব রকমের পদক্ষেপ নেবে আমেরিকা। তাঁর ওই ঘোষণাকে যুদ্ধের উস্কানি বলেই মনে করছেন কূটনীতিবিদরা। যদিও ইরানের সম্ভাব্য হামলার ভয়ে ইজরায়েলে থাকা মার্কিন দূতদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। সেই সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের তেল আভিভ, পশ্চিম জেরুজালেম এবং বেয়ার শেভা এলাকার আশেপাশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।