এই মুহূর্তে




আফগান সীমান্তে নতুন করে গোলাগুলি, কাতার ও সৌদির কাছে সাহায্য ভিক্ষা পাকিস্তানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে পাক বাহিনী এবং তালিবান যোদ্ধাদের মধ্যে নতুন করে গুলি বিনিময় হয়েছে। তার ফলে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এই মৃত্যু দুই প্রাক্তন ‘মিত্র’র মধ্যে শত্রুতাকে আরও তীব্র করে তুলেছে। সংক্ষিপ্ত বিরতির পর মঙ্গলবার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের রাতভর সংঘর্ষ শুরু হয়।

দুই দেশের মধ্যে সংঘাত থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আফগানিস্তান আলোচনার জন্য পাকিস্তানি মন্ত্রীদের প্রবেশাধিকার অস্বীকার করছে। বাধ্য হয়ে ইসলামাবাদ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার জন্য কাতার এবং সৌদি আরবকে অনুরোধ করেছে। গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ কাবুলে অবস্থিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) শিবিরগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তারপর থেকে যুদ্ধের রূপ নেয় শত্রুতা। ২০২১ সালে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। বর্তমানে পাকিস্তান-আফগানিস্তান যুদ্ধরত। এদিকে এই সময়ই আফগান বিদেশমন্ত্রী তাঁর প্রথম ভারত সফরে এসেছেন। ফলে নয়াদিল্লি এবং কাবুলের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি পাকিস্তানের জন্য বিনা মেঘে   বজ্রপাতের মতোই হয়েছে।

তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন যে পাকিস্তান কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক জেলায় ভারী অস্ত্রাঘাত হেনেছে। এর ফলে ১৫ জন সাধারণ মানুষ নিহত হন। ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। জেলার একটি হাসপাতাল জানিয়েছে যে আহতদের মধ্যে ৮০ জনেরও বেশি নারী ও শিশু।

আফগানিস্তানের দাবি প্রতিশোধ নিতে তারাও গুলি চালিয়েছে। তাতে পাকিস্তানের বিপুল সংখ্যক সেনা নিহত হয়েছে। একটি পাকিস্তানি ট্যাঙ্ক তালিবানরা বাজেয়াপ্ত করেছে। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে তালিবান যোদ্ধারা একটি পাকিস্তানি টি-৫৫ ট্যাঙ্কের উপর চড়ে বসেছে। এই ট্যাঙ্কটি ইসলামাবাদ সার্বিয়া থেকে কিনেছিল।

অন্যদিকে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দক্ষিণ-পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে তালিবানদের আক্রমণের অভিযোগ করেছে। ইসলামাবাদের দাবি দুটি আক্রমণই প্রতিহত করা হয়েছে। তার ফলে অন্তত ৩০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। তাদের দাবি স্পিন বোলদাকের কাছে আরও ২০ জন নিহত হয়েছেন। চামান জেলায় তালিবানি হামলায় চারজন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। সীমান্তবর্তী জেলা ওরাকজাইতে ছয়জন পাকিস্তানি আধাসামরিক সেনা নিহত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এদিকে, হিংসা বৃদ্ধি পাওয়ায় পাকিস্তান কাতার এবং সৌদি আরবকে অবিলম্বে মধ্যস্থতা করার আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তান এবং সৌদি একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে যেখানে দুই দেশই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে একজন অন্য কোনও দেশ দ্বারা আক্রান্ত হলে সেই আক্রমণ উভয় দেশের বিরুদ্ধে বলে গণিত হবে। পাকিস্তান আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টিটিপিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনেছে। এই টিটিপির বিরুদ্ধে ২০২১ সাল থেকে কয়েকশো পাকিস্তানি সেনাকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মায়ানমারের রাখাইনে অতর্কিতে হামলা আরাকান আর্মির, মৃত ৩০ জন জান্তা সেনা

সৌদি যুবরাজের জন্য বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন ট্রাম্পের, অতিথি এলন মাস্ক-রোনাল্ডো-অ্যাপলের সিইও

মর্মান্তিক! অস্ট্রেলিয়ায় ৮ মাসের গর্ভবতী ভারতীয় মহিলাকে পিষে মারল বিএমডাব্লু গাড়ি

লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত ১৩, আহত বহু

‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়’, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সংযমী প্রতিক্রিয়া চিনের

বিশ্বজুড়ে ফের মুখ থুবড়ে পড়ল ‘এক্স’, চরম সমস্যায় ব্যবহারকারীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ