আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: হামাস-ইজরায়েল সংঘাত শুরুর পর থেকে গাজার সর্ববৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফাকে চিকিৎসার পাশাপাশি অনেকে প্য়ালেস্তাইনবাসী নিরাপদ স্থান ভেবে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আর সেই হাসপাতালকেই ডেথ জোন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই সঙ্গে হাসপাতালে যারা ছিলেন, তাদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
নতুন রোগী ভর্তি করতে অক্ষম হাসপাতালটি। হাসপাতালের আহত ও অসুস্থদের ইন্দোনেশিয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ২৯১ জন রোগী আল-শিফায় রয়েছে, যার মধ্যে ৩২ জন গুরুতর অসুস্থ শিশু, ২ জন বায়ুচলাচল ছাড়াই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছে এবং ২২ জন ডায়ালাইসিস রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজন।
শনিবার হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে রোগীদের হাসপাতাল ছাড়ার আলটিমেটাম দেয় ইজরায়েলি বাহিনী। ইজরায়েলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে হাসপাতালের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছিল আড়াই হাজারের মতো বাসিন্দা। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তার অভাবে আল-শিফা হাসপাতাল হিসেবে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। গত দেড় মাসের হামলায় ১২ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ বা অ্যাম্বুলেন্স কোনো কিছুই হামলার হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এক সময় গাজার সবচেয়ে বড় ও অত্যাধুনিক রেফারেল হাসপাতাল ছিল আল-শিফা। বর্তমানে বিশুদ্ধ জল, জ্বালানি, ওষুধ ও খাদ্য সংকটের কারণে পঙ্গু হয়ে পড়েছে এই হাসপাতাল। এই কারণে, ওসিএইচএ, ইউএনডিএসএস, ইউএনএমএএস/ ইউএনওপিএস, ইউএনআরডব্লিউএ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, লজিস্টিক অফিসার এবং নিরাপত্তা কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত দলটি পরিস্থিতিকে “মরিয়া” এবং হাসপাতালটিকে “ডেথ জোন” হিসাবে বর্ণনা করেছে।