এই মুহূর্তে




ভয়াবহ অবস্থা! গাজায় ৫ টাকার পার্লে-জি’র দাম শুনলে চমকে উঠবেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যে কোনও ভারতীয় পরিবারে শৈশব, চা-পান এবং সস্তায় পুষ্টিকর এই শব্দগুলি মস্কিষ্কে আসলেই মন বলে পার্লে-জি বিস্কুটের কথা। এই একটি বিস্কুট যা নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির কাছে কখনও বিলাসিতা হিসেবে বিবেচিত হত না। পার্লে-জি মানেই কম টাকায় ভরপুর পুষ্টি। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় চিত্রটা একদম বদলে গিয়েছে। সেখানে তীব্র খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। দুর্ভিক্ষ এখন গাজার নিত্যসঙ্গী। সেখানে পার্লে জি বিক্রি হচ্ছে আসল দামের প্রায় ৫০০ গুণ বেশি মূল্যে।

গাজা থেকে সম্প্রতি একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। এক ব্যক্তি দাবি করেছেন যে পার্লে প্রোডাক্টস দ্বারা নির্মিত পার্লে-জি বিস্কুট ২৪ ইউরোরও বেশি (ভারতীয় মূল্যে ২,৩৪২ টাকা) দামে বিক্রি হচ্ছে গাজায়। বহু সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার এই তথ্যে হতবাক। ভারতীয় বাজারে ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে সস্তা এই বিস্কুট। সেটা কীভাবে একটি দুর্ভিক্ষ নিপীড়িত দেশে এত চড়া দামে বিক্রি হতে পারে!

ভাইরাল হওয়া পোস্টটিতে লেখা, “দীর্ঘ অপেক্ষার পর, অবশেষে আজ আমি রফিফকে তার প্রিয় বিস্কুটটি দিতে পেরেছি। যদিও দাম ১.৫ ইউরো থেকে বেড়ে ২৪ ইউরোরও বেশি হয়েছে। কিন্তু আমি রফিফকে তার প্রিয় খাবার দিতে অস্বীকার করতে পারিনি।”

২০২৩ সালের অক্টোবরের গাজার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাগতভাবে হ্রাস পায়। চলতি বছরের ২রা মার্চ থেকে ১৯শে মে পর্যন্ত, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহলটি প্রায় সম্পূর্ণ অবরোধের মুখোমুখি হয়েছিল। কেবলমাত্র সীমিত সংখ্যক ট্রাককে সামগ্রি নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এর বেশিরভাগটাই হয়েছিল তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের পরে।

 

গাজার রাজনৈতিক ও জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে সাহায্য কেড়ে নেওয়ার এবং অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনে ইজরায়েল জাতিসংঘের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য সরবরাহ স্থগিত করেছে। পরিবর্তে, ২৭শে মে একটি বিতর্কিত এবং তীব্র সমালোচিত বিকল্প চালু করা হয়েছিল। সেটি হল গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) দ্বারা তৈরি সিকিওর ডিস্ট্রিবিউশন সাইট ১ (SDS1) মডেল। ফরাসি দৈনিক লে মন্ডের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড এবং ইজরায়েল সমর্থিত মিলিত উদ্যোগ হল এই মডেলটি। এর মাধ্যমের খাদ্য সরবরাহ চলত। কিন্তু প্রকৃত ক্ষুধার্তদের কাছে কতটা সাহায্য পৌঁছায়? কালোবাজারে কত বেশি দামে বিক্রি হয় সেই সব খাবার?

উচ্চমূল্যের এই সমস্যা কেবল পার্লে-জি’র মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পার্লে জি গাজায় যায় প্রায় ৪,৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে। আসলে এই পণ্যগুলি গাজায় মানবিক সাহায্য হিসেবে বিনামূল্যে প্রবেশ করে। কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষই এগুলি গ্রহণ করে। ফলে পরে এগুলি উচ্চমূল্যের কালোবাজারি পণ্যে পরিণত হয়। পার্লে জি’ও ব্যতিক্রম নয়।

পার্লে-জি’র গুরুত্ব ভারতীয়দের কাছে অপরিসীম। এটি কাগজে মোড়ানো একটুকরো স্মৃতি। ১৯৩৮ সালে চালু হওয়া পার্লে-জি বিস্কুট ভারতের স্বদেশী আন্দোলনের সময় অভিজাত ব্রিটিশ খাবারের স্থানীয় বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল।

কয়েক দশক ধরে, পার্লে-জি ‘সঙ্কোচন’ অর্থনীতির কারণে তার কম দাম ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। দাম এক রেখে ওজন কিছু হ্রাস করা হয়েছে। একসময় ১০০ গ্রাম ধারণকারী ৫ টাকার প্যাকেটে এখন ৫৫ গ্রাম বিস্কুট থাকে। তবুও এটি ভারতের সবচেয়ে সস্তা প্যাকেজজাত খাদ্য পণ্যগুলির মধ্যে একটি। ২০১৩ সালে পার্লে-জি ৫,০০০ কোটি টাকা বিক্রির প্রথম ভারতীয় এফএমসিজি ব্র্যান্ড হয়ে ওঠে। ২০১১ সাল পর্যন্ত এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বিস্কুট ছিল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৩২ ঘন্টার চেষ্টা ব্যর্থ, বাঁচানো গেল না রাজশাহীতে ৪০ ফুট কুয়োয় পড়ে যাওয়া শিশুকে

জেন-জি বিক্ষোভের মুখে আরও এক সরকারের পতন, ইস্তফা বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

ইমরান ঘনিষ্ঠ পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার প্রাক্তন প্রধানকে ১৪ বছরের জেল দিল সামরিক আদালত

সময়ের আগেই অফিসে আসতেন মহিলা কর্মী, তাঁকেই বরখাস্ত করে সংস্থা!‌ আদালত কর্মীর পাশে দাঁড়াল না কেন?

ট্রাম্পের পর মোদিকে জোর ধাক্কা মেক্সিকোর, ভারতীয় পণ্যের উপরে ৫০ শতাংশ কর চাপাল

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মহিলা চিকিৎসককে পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে অশ্লীল আচরণ ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবকের!‌ গ্রেফতার করল কানাডার পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ