নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: ভারতে মুসলিম-সহ সংখ্যালঘুদের ওপরে চলা লাগাতার নির্যাতনের প্রতিবাদে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই সাংসদ। ওই দুই সাংসদ হলেন ইলহান ওমর ও রাশিদা তালেইব। দলের দুই সাংসদের এমন সিদ্ধান্তে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মোদির ভাষণ বয়কটের কথা জানিয়ে ডেমোক্রেটিক সাংসদ ইলহান ওমর লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দমন করেছে এবং হিংসাত্মক হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীকে উৎসাহিত করেছে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। যিনি মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা মানেন না, তাঁর জ্ঞানগর্ভ ভাষণ শুনে সময় নষ্ট করার মতো অফুরন্ত সময় আমার হাতে নেই।’ একই কথা শোনা গিয়েছে মিচিগান থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট সাংসদ রাশিদা তালেইবের কণ্ঠেও। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণের সুযোগ করে দেওয়ায় নিজের দলের নেতা তথা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যক্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘এটা লজ্জাজনক যে আমাদের দেশের রাজধানীতে মোদিকে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া হয়েছে। যার মানবাধিকার লঙ্ঘনের দীর্ঘ ইতিহাস, গণতন্ত্রবিরোধী কাজের নজির রয়েছে, তাঁর কথা শোনার কোনও ইচ্ছেই নেই।’
উল্লেখ্য, ভারতের বাক স্বাধীনতা নিয়ে মোদিকে প্রশ্ন করার দাবি জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছিলেন ৭৫ জন সেনেটর। চিঠিতে তাঁরা বলেছিলেন, ‘ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, ইন্টারনেট বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি কেন, তা নিয়ে মোদির কাছে জানতে চাওয়া উচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের।’