আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্ষমতা হারিয়েও অনন্য নজির স্থাপন করলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সে দেশের উপনির্বাচনে বিপুল জয় পেল তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফ।
রবিবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আটটি আসনের মধ্যে তারা দখল করেছে ছয়টি আসন। অন্যদিকে, পঞ্জাব অ্যাসেম্বলির তিনটি আসনের উপনির্বাচনে তারা দু’টিতে জয় পেয়েছে। পাক নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) শুধুমাত্র শেখপুরা উপনির্বাচনে জয়ের মুখ দেখেছে।
যদিও করাচি ও মুলতান- এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে পরাজিত হয়েছে ইমরানের তেহরিক-ই-ইনসাফ। এই দুটি আসনে ইমরান হারলেও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আটটি আসনের মধ্যে ছয়টিতে তারা জয়ী হওয়ায় সরকার-বিরোধী আন্দোলনে অক্সিজেন জোগাবে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। ইমরানের দলের প্রার্থীদের কাছে হারতে হয়েছে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েটকে।
যদিও সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশন এখনও ফলাফল ঘোষণা করেনি। পাকিস্তানের রাজনৈতিকমহল নিশ্চিত ছিল পাক অ্যাসেম্বলির উপনির্বাচনে প্রতিটি আসনই দখল করবে ইমরানের তেহরিক-ই-ইনসাফ। সেটা না হওয়ায় তারা কিছুটা হলেও হতাশ।
ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে প্রায় নির্বিঘ্নে। কোনও কোনও প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া যায়। যদিও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের করাচি শাখার সভাপতি বিলাল গফফরের ওপর হামলা হয়। হামলার ঘটনাটি ঘটে মালিরে। পেশওয়ারে নির্বাচন চলাকালীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির কর্মী-সমর্থকেরা তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। ভোট পর্ব প্রায় নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলেও ভোটের হার খুবই কম। স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতায় আসীন শাসক দল এবং বিরোধীদল ছিল রীতিমতো উদ্বিগ্ন।