আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মহিলাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল তালিবান সরকার। হেরাত প্রদেশের ট্র্যাফিক ম্যানেজেন্ট ইন্সটিটিউট, যাদের অধীনে আফগানিস্তানের অধিকাংশ ড্রাইভিং স্কুল, তাদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগমীদিনে কোনও মহিলাকেই যেন গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ইস্যু না করা হয়।
স্কুলের ইন্সট্রাক্টর ২৯ বছরের আদিলা আদিল জানিয়েছেন, ‘তালিবান সরকারের তরফ থেকে আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামীদিনে যেন কোনও মহিলাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেওয়া হয়। তাদের যেন গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণও না দেওয়া হয়। তবে মহিলাদের গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে আপাতত কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।’
হামিদ কারজাইয়ের শাসনামলে আফগানিস্তানের মেয়েদের গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি তোলা হয়নি। তবে ক্ষমতায় পালাবদলের পর তালিবানরা আশ্বাস দিয়ে বলেছিল, আফগানিস্তানে মেয়েদের স্বাধীনতায় কোনও ধরনের হস্তেক্ষপ করা হবে না। কিন্তু দেশ দখলের পর এক মাস যেতে না যেতেই তালিবান সরকার একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মেয়েদের পঠন পাঠনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রেও জারি করা হয় গোছা গোছা নির্দেশিকা। জানিয়ে দেওয়া হয়, পশ্চিমের কায়দায় পোশাক পরা যাবে না। ঘরের বাইরে যেতে গেলে স্বামীকে নিয়ে যেতে হবে।
শাইমা ওয়াফা জানিয়েছেন, গাড়ির পিছনে বসে থাকার চেয়ে গাড়ি চালিয়ে কোথাও যাওয়ার মধ্যে বাড়তি একটা তৃপ্তি রয়েছে। জরুরি দরকারে বাড়ির কাউকে কোথাও নিয়ে যেতে হলে অন্যের ওপর ভরসা করতে হয় না। নিজেই গাড়ি চালিয়ে যাওয়া যায়।