আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সমর্থন জানানোয় মস্কোর উপরে চটেছেন ইজরায়েলের খুনি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রবিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়েই নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার নায়ক। যদিও রুশ প্রেসিডেন্ট ওই আপত্তিকে পাত্তাই দেননি। উল্টে জানিয়ে দিয়েছেন, নিরীহ নাগরিকদের গণহত্যার বিরোধিতা করে যাবে রাশিয়া।
গত শুক্রবারই জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ সভায় গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেশ করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। রাশিয়া, চিন-সহ নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই প্রস্তাব ভেটো দিয়ে আটকে দেয় কুখ্যাত যুদ্ধবাজ হিসাবে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশ না করাতে পারায় রবিবারই নিরাপত্তা পরিষদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি রাখঢাক না রেখেই নিরাপত্তা পরিষদকে ‘পঙ্গু’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবের ওই মন্তব্যের খানিকবাদেই রুশ প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তথা কুখ্যাত জল্লাদ বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। জাতিসঙ্ঘ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে যেভাবে রুশ প্রতিনিধিরা ইজরায়েলের ‘গণহত্যার’ বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী গাজা এবং পশ্চিম তীরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার পক্ষে সাফাইও দেন। শুধু গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সমর্থন জানানোর জন্যই নয়, ইরানের সঙ্গে মস্কোর সুসম্পর্ক নিয়েও নিজের অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন নেতানিয়াহু। ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্যও রুশ প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানান তিনি।
যদিও ওই অনুরোধ পত্রপাঠ প্রত্যাখান করেছেন পুতিন। ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কারও মন জুগিয়ে চলতে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে না রাশিয়া। পশ্চিমী দেশগুলি মধ্যপ্রাচ্যে যে দাদাগিরি চালাচ্ছে তার বিরোধিতা করা হবে। সেই সঙ্গে গাজায় নিরীহ নাগরিকদের গণহত্যা রুখতে এবং তাদের বেঁচে থাকার বিষয়ে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর মস্কো।