আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গতবছর ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে গাজা-ইজরায়েল বিধ্বংসী যুদ্ধ। প্রায় সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখনও পর্যন্ত ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে বলি হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার ১৭ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর কত মর্মান্তিক দেখার বাকি রয়েছে ভগবান জানে! ইজরায়েল-হামাস হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৩২০ জন সেনা। জাতিসংঘের মতে, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রধান শিকার হচ্ছেন নারী ও শিশুরা।
ইতিমধ্যেই গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু। আহত হয়েছেন শতাধিক শিশু। এককথায় ইজরায়েলি হামলায় এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা। এমতাবস্থায় বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কেউ আসতে চাইলে তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে ভাবছেন তাঁরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ সরকারি নথিগুলিতে দেখা গিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিরীহ গাজাবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্যে বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা করছেন।
আর বলা হয়েছে, যেসব ফিলিস্তিনিদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা, তাঁদেরকেই যুক্তরাষ্ট্রে জায়গা দেওয়া হবে। এছাড়াও গাজা থেকে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিদের ‘মার্কিন রিফিউজি অ্যাডমিশন প্রোগ্রাম’র মাধ্যমে আশ্রয় দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে প্রস্তাবটি মিশরের সঙ্গে সমন্বয়ের ওপর নির্ভরশীল, কারণ তাঁরা এতদিন ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে রাজি ছিল না। এদিকে গাজার বন্দি পুরুষদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে ইজরায়েলিরা। তাঁদের যৌন নির্যাতন থেকে শুরু করে, কুকুর দিয়ে অত্যাচার, কারেন্টের শক দেওয়া-সহ একাধিকভাবে নির্যাতন করছেন ইজরায়েলি বাহিনীরা।