আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রকৃতির রোষ দেখে না বয়স। দেখে না তার রোষাণল যাকে কেড়ে নিতে চলেছে, সে মূক না বধির না সদ্যোজাত না অন্ধ। প্রকৃতি তাণ্ডব শুরু করলে সে নিজেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। বদ্ধ উন্মাদ হয়ে ওঠে। সেই তাণ্ডব নৃত্যের সর্বশেষ সাক্ষী তুরস্ক। মৃত্যু মিছিল কোথায় গিয়ে থামবে, তা কেউ বলতে পারছে না। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক ছবি, যা দেখে মানুষ শুধু দীর্ঘশ্বাস ফেলছে। প্রতিবেদনের সঙ্গের ছবি সেই দীর্ঘশ্বাসকে হয়তো আরও প্রলম্বিত করবে।
ছবিতে দেখা গিয়েছে এক অসহায় বাবাকে। ভূমিকম্প কেড়ে নিয়েছে মেসুত হ্যান্সারের ১৫ বছরের মেয়ে। কিন্তু ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়া মেয়ের দেহ এখনও উদ্ধার করতে পারেননি তিনি। আলতো করে মেয়ে ইরমাকের হাত ধরে বসে রয়েছে মেসুত হ্যান্সার।
মেয়ের বয়স মাত্র ১৫ বছর। তার অসহায়ত্বের কাছে শোকও যেন নতজানু। পলক পড়ে না চোখের। রয়টার্সের এক আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তার অসহায়ত্বের ছবি।
মেসুতদের বাড়ি তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরে। স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। শক্তিশালী কম্পন কেড়ে নেয় মেসতু হ্যান্সারের ১৫ বছরের মেয়েকে। উদ্ধারকারীরা এখনও তার দেহ উদ্ধার করতে পারেনি। তাই, মেয়েকে ছেড়ে যেতে চাইছে না। শোকে বাক্যহারা। ফ্যাল ফ্যাল করে মেয়ের দিকে তাকিয়ে। চোখে-মুখে অপাড় বিস্ময়। সময়ের আগে চলে যাওয়া। মেনে নেওয়া সুকঠিন।
…এ জীবন যেন ধীরে ধীরে বীতশোক হয়