আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একদিনে বারোজনকে ফাঁসিকাঠে ঝোলাল ইরান (Iran)। এদের মধ্যে বেশ একজন মহিলা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন এবং মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ফাঁসি হয়েছে গত সোমবার, পাক-আফগান সীমান্তের সিস্তান-বালোচিস্তান প্রদেশের কেন্দ্রীয় কারাগারে।
গণফাঁসির খবর দিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই ১২ জনের মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাদক পাচারের। বাকি ছজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ খুনের। এই ১২জনের মধ্যে শুধু ওই মহিলা ছাড়া আর কারও পরিচয় জানা যায়নি। তাও নাম নয়, শুধু তাঁর পদবি জানা গিয়েছে। মহিলার পদবি গার্গিজ। ২০১৯ সালে এই মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ, যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, তারা প্রত্যেকের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। বিশেষ করে কুর্দ সম্প্রদায়ের মানুষ ইরানে (Iran)নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার। ইরানের উত্তর-পশ্চিমে বসবাসকারীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠই কুর্দ সম্প্রদায়ের। দক্ষিণ-পশ্চিমে বাস আরবদের আর দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে সংখ্যালঘু বালুচ সম্প্রদায়। সোমবার যাদের ফাঁসি হয়েছে, তাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠই বালোচ। কয়েকজন সংখ্যালঘু সুন্নি সম্প্রদায়ের মানুষও রয়েছেন।
প্রায় একই ধরনের ঘটনার সাক্ষী ছিল পাকিস্তান (Pakistan)। ২০১৫ সালে একসঙ্গে ১২ জনকে ফাঁসিকাঠে চড়ায় ওই দেশ। যদিও ২০০৮ সালে সেনা শাসনের অবসানের পর নতুন সরকার ক্ষমতায় আসীন হলে মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। পেশাওয়ারে সেনাস্কুল তালিবানি হামলার পর ফিরিয়ে আনা হয় সর্বোচ্চ শাস্তি। ২০১৫ সালের মার্চে একসঙ্গে ১২জনকে ফাঁসি দিয়েছিল পাকিস্তান।
আরও পড়ুন ছোটবেলার বন্ধুর গুলিতেই প্রাণ হারালেন ডমিনিকার পরিবেশমন্ত্রী