নিজস্ব প্রতিনিধি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বান্ধব দেশগুলির পরামর্শ উপেক্ষা করেই শুক্রবার সকালে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইজরায়েল। বেশ কয়েকৃই লক্ষ্যবস্তুতে ওই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইরনা’ জানিয়েছে, ইসফাহান শহরে ওই হামলা চালানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। ইজরায়েলের আচমকা হামলার পরেই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে ইরান সরকার। সেই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান ও শিরাজ শহরের বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলা চালিয়ে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের দুই শীর্ষ কম্যান্ডার-সহ ১১ জনকে হত্যা করেছিল ইজরায়েলি বায়ু সেনা। ওই হামলার বদলা নিতে গত শনিবার ইজরায়েলে পাল্টা হামলা চালায় ইরান। ওই হামলার বদলা নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ ইরানে পাল্টা হামলা চালিয়ে পরিস্থিতির অবনতি না ঘটানোর জন্য ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেননি নেতানিয়াহু।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইরনা’ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে আচমকাই ইসফাহান ও কাহজাভারিস্তানে হামলা চালায় ইজরায়েলের বিমান বাহিনী। বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। কাহজাভারিস্তান শহরটি ইসফাহান বিমানবন্দর এবং ইসফাহানের উত্তর-পশ্চিমে সেনা বিমান বাহিনীর অষ্টম শেখারি ঘাঁটির কাছে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে। আচমকা হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ইরানিরা। এদিন ইজরায়েলের হামলার পরেই ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হুমকি দিয়েছেন, ইজরায়েলকে এমন জবাব দেওয়া হবে যে কয়েক প্রজন্ম ধরে মনে রাখবে।