নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজার জাবিলিয়ার শরণার্থী শিবিরে টানা তিন দিন ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলি জল্লাদ বাহিনী। মানবিকতার সব সীমা লঙ্ঘন করে মৃতদেহ উদ্ধারের সময়েও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলের খুনি সেনারা। আর ওই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবেই দেখছে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা। বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক বিবৃতিতে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলের পক্ষ থেকে যে বিশাল আকারের ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, তাতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এই হামলা মাত্রা ছাড়িয়েছে এবং একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে।’
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘আলজাজিরা’ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার প্রথমে জাবিলিয়ার শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইজরায়েলের জল্লাদ বাহিনী। ওই হামলাতে অসংখ্য নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান। সেই ভয়াবহ হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ফের একই শিবিরে হামলা চালানো হয়েছে। তিনদিনের বিমান হামলায় এক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইজরায়েলের ছোড়া বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রে একাধিক ভবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের হামলায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধারের মধ্যে ফের হামলার ঘটনায় বিস্মিত গোটা বিশ্ব। নিন্দার ঝড় উঠেছে।’
গাজায় ইজরায়েলি হত্যা ও ধ্বংসলীলা নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘ। এদিন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজায় যে হত্যালীলা সংগঠিত হচ্ছে তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।’ উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় লাগাতার বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলের খুনি বাহিনী। ওই হামলায় এখনও পর্যন্ত ৮ হাজার ৭৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২১ হাজারেরও বেশি।