নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আশঙ্কাই সত্যি হল। সোমবার বিকেলে হওয়া চিনের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল প্লেনে থাকা ১২৩ জন যাত্রী এবং ৯ জন ক্রু সদস্যের। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটের সময়ে চিনের গুয়াংজি পার্বত্য অঞ্চলে ভেঙে পড়ে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের উড়ান MU5735। দুর্ঘটনাগ্রস্থ ওই বিমানটিতে ছিলেন ১২৩ জন যাত্রী এবং দুজন চালকসহ ৯ জন ক্রু সদস্য। চিনের যে অঞ্চলে বিমানটি ভেঙে পড়ে সেটি অত্যন্ত দুর্গম একটি পার্বত্য অঞ্চল। ফলে প্রথম থেকেই আশঙ্কা কড়া হচ্ছিল যে এই দুর্ঘটনায় সমস্ত যাত্রীরই মৃত্যু হতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হল মঙ্গলবার সকালে। জানা যাচ্ছে, ওই এলাকার কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসস্তূপ থেকে কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছে, বিমানটি ভেঙে পড়ার কিছুক্ষণ পরেই তার ধ্বংসাবশেষ গুয়াংজি এলাকার একটি পাহাড়ের ওপর খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ সোমবার বিকেলে ওই বিমানের যে সদস্যদের সঙ্গে শেষবার যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছিল দুর্ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পরেও তাঁদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে মনে করা হচ্ছে যে ওই বিমানের মোট ১৩২ যাত্রীরই এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভেঙে পড়া বিমানটি কুনমিং থেকে গুয়াংজু যাচ্ছিল। পথে গুয়াংক্সিতে বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়ে ভেঙে পড়ে। বিমানটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১১ মিনিটে কুনমিং থেকে আকাশে ওড়ে এবং বিকেল ৩টা ০৫ মিনিটে সেটির গুয়াংজুতে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু আকাশে ওড়ার ৭১ মিনিটের মাথায় দুপুর ২:২২ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটির সঙ্গে যখন শেষবার যোগাযোগ স্থাপন হয়েছিল তখন সেটি ২৯,১০০ ফুট উচ্চতায় উড়ছিল।