আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বড় দিনে উপহার বিনিময় একটা সাধারণ ঘটনা। দিনটিতে মানুষ তাঁর প্রিয়জনের জন্য কেনে উপহার। যার যেমন সামর্থ্য, তিনি তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী উপহার কেনেন। সামনেই বর্ষবরণ। ৩১ তারিখ অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা থেকেই। শেষ হতে হতে ভোর হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। প্রতিবছর হয়। করোনার কারণে গত দুই বছর মানুষ সেভাবে বড়দিন এবং বর্ষবরণ উৎসব পালন করতে পারেনি। তাই, এবছর যে বর্ষবরণে মানুষের ঢল নামবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সেদিনও চলবে উপহার বিনিময়। এই অবস্থায় জার্মান থেকে এল মন ভালো করা খবর।
সে দেশের সংবাদসংস্থা ডয়েচভেলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টুগার্টের চিড়িয়াখানায় থাকা বোনোবো শিম্পাঞ্জিদের বড় দিনে উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। উপহার হিসেবে তাদের কী দেওয়া হবে, তা নিয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করেন। ঠিক হয় শিম্পাঞ্জিদের দেওয়া হবে পপকর্ন আর কিসমিস। তবে থালায় নয়। সুন্দর রঙিন কাগজে মোড়া প্যাকেটে দেওয়া হবে এই অনন্য উপহার। উপহার পেয়ে শিম্পাঞ্জিরা রীতিমতো খুশি। প্যাকেট খুলে তারা মহানন্দে পপকর্ন ও কিসমিস খেতে শুরু করে।
শিম্পাঞ্জিরা অনেকটাই মানুষের মতো। ওরা বেশ কৌতুহলী। মানুষ উপহার পেলে যেমন খুশি হয়, খুশি হয় শিম্পাঞ্জিরাও। আর যে শিম্পাঞ্জিদের এই উপহার দেওয়া হয়েছে, তারা আবার উপহার নিজেদের মধ্যে ভাগভাগি করে নেয়। এর বামন। বড় গুন হল এরা একসঙ্গে থাকতে পছন্দ করে।