নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: দেশের কোষাগারের অবস্থা বেহাল। ডলারের তুলনায় পাকিস্তান রুপির দাম প্রথমবার ২০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে। যাতে শ্রীলঙ্কার মতো আর্থিক হাল না হয় তার জন্য বৃহস্পতিবার আচমকাই গাড়ি, মোবাইল, চকোলেট সহ বিলাসবহুল পণ্য আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল পাকিস্তান। এদিন সন্ধ্যায় টুইট করে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। নিষেধাজ্ঞায় অন্তত ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানে আর্থিক সঙ্কট চলছে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই ভয়াবহ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে এসে ঠেকছে। শ্রীলঙ্কার দশা দেখে তাই প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। এদিন এক ডলারের দাম পাকিস্তানি রুপিতে ২০০ ছাড়িয়েছে। এই প্রথম ডলার এত মহার্ঘ হল। ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিলাসবহুল পণ্য আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘বিদেশ থেকে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষের উপরে আর্থিক বোঝা না চাপে তার জন্য আর্থিক দিক থেকে যারা শক্তিশালী তাঁদের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।’ দেশের আর্থিক সঙ্কটের জন্য ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পূর্বতন সরকারকেই কাটগড়ায় তুলেছেন তিনি।
দেশের অন্যতম দৈনিক পত্রিকা ‘ডন’ জানিয়েছে, যে সব পণ্য আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে যেমন গাড়ি, মোবাইল ফোন, শুকনো ফল, ব্যক্তিগত অস্ত্র, জুতো, ঘর সাজানোর উপকরণ, হিমায়িত মাংস, ফল, কার্পেট, টিস্যু পেপার, আসবাবপত্র, মেকআপ, চকোলেট, শ্যাম্পু, সানগ্লাস, সিগারেট ও বাদ্যযন্ত্র রয়েছে।