নিজস্ব প্রতিনিধি: গোটা বিশ্বের এখন মূল মাথাব্যাথার কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন। যা নিয়ে অনেক ভাবার কথা থাকলেও হাত গুটিয়ে বসেছিলেন রাষ্ট্রনেতারা। টনক নড়তেই ঘটা করে বড়সড় করে জলবায়ু সঙ্কট নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন রাষ্ট্রনেতারা। আগেও এই বৈঠক হলেও এতটা গুরুত্ব দেয় নি কোনও রাষ্ট্রনেতারা। গ্লাসগোতে এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেশ কিছু দাবি ও পরিকল্পনার কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ‘পঞ্চামৃত’ প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন জলবায়ু সঙ্কট নিয়ে আলোচনা মঞ্চে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াট ‘অজীবাশ্ম’ শক্তির আধার হবে ভারত। একই সময়ের মধ্যে দেশের মোট প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ৫০ শতাংশ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি থেকে ব্যবহার করা হবে। এখন থেকে শুরু করে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ কোটি টন কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনবে ভারত। কার্বনের উপর দেশীয় অর্থনীতির নির্ভরশীলতা ৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনা হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।’ চিনের তুলনায় ১০ বছর বেশি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তুলনায় ২০ বছর বেশি সময় নিচ্ছে ভারত কার্বন নির্গমন বন্ধ করার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী এও জানিয়েছেন, ‘বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ ভারতে। কিন্তু কার্বন নির্গমনের দিক থেকে বিশ্বের মোট কার্বন নির্গমনের মাত্র ৫ শতাংশের জন্যই ভারত। যে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ভারতই প্যারিস চুক্তি মেনে চলেছে। সারা বিশ্ব আজ তা স্বীকার করে। আমার কাছে প্যারিস শুধু কোনও সম্মেলন নয়, এটি আমার কাছে একটি আবেগ। একটি প্রতিশ্রুতি। আর এই প্রতিশ্রুতি ভারত দিচ্ছিল না। ১২৫ কোটি ভারতীয় নিজেদের মধ্যে এই প্রতিশ্রুতি পালন করছিলেন। আমি গর্বিত যে ভারতের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র থেকে টেনে বের করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’ মোদি সভামঞ্চে এও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতে ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।