নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি (Pakistan President) আরিফ আলভির (Arif Alvi) সঙ্গে শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) সরকারের সঙ্ঘাত যেন কিছুতেই থামতে চাইছে না। পঞ্জাবের গভর্নর (Punjab Governor) পদে নিয়োগের পরে এবার নির্বাচনী সংশোধনী (Election Amendment) ও দুর্নীতি দমন সংস্থার (National Accountability Bureau) অতিরিক্ত ক্ষমতা সংক্রান্ত বিল নিয়ে ফের দুই পক্ষের মধ্যে জোর সঙ্ঘাত শুরু হয়েছে। শনিবার দুটি বিলই সই না করে ফেরত পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সেই সঙ্গে দুই বিল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে (Pak Prime Minister)। ফলে ওই দুই বিলের ভবিষ্যত কার্যত বিশ বাঁও জলে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদতে ক্ষমতায় আসার পরেই দেশের নির্বাচনী আইন সংশোধনের পথে হেঁটেছে শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) সরকার। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত নতুন বিল পাশও হয়েছে। ওই বিল অনুযায়ী, দেশের কোনও নির্বাচনে আর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া প্রবাসী পাকিস্তানিদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যে ভোটাধিকার দিয়েছিলেন, তাও রদ করা হচ্ছে। ফলে আমেরিকা, ব্রিটেন সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা কয়েক হাজার প্রবাসী পাক নাগরিক ভোটাধিকার হারাতে বসেছেন। নির্বাচনী আইন সংশোধনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে (Pakistan Supreme Court) মামলাও দায়ের হয়েছে। দুটি বিল আইনে পরিণত করার জন্য রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির (Arif Alvi) কাছে পাঠিয়েছিল শাহবাজ সরকার।
কিন্তু এদিন দুটি বিল সই না করে ফেরত পাঠিয়েছেন পাক রাষ্ট্রপতি। বিল ফেরত পাঠানোর পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘সংবিধানের ৪৬ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করে ওই দুই বিল সংসদে পেশ করা হয়েছে। সংবিধানের ৪৬ নম্বর ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনও বিল সংসদে পেশ করতে হলে আগেভাগে রাষ্ট্রপতিকে জানাতে হবে। এই দুই বিল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনকে আগাম কিছু জানানো হয়নি।’