‘জণগনের ভাগ্য যদি তাদের সম্মিলিত ইচ্ছার দ্বারা সৃষ্ট ও পালিত না হয়, তবে সেটা হয় খাঁচা, দানাপানি সেখানে ভালো মিলতেই পারে। কিন্তু তাকে নীড় বলা চলে না, সেখানে থাকতে থাকতে পাখা যায় আড়ষ্ট হয়ে। এই নায়কতা শাস্ত্রের মধ্যেই থাক, গুরুর মধ্যে থাক, আর রাষ্ট্রনেতার মধ্যেই থাক, মনুষ্যত্বহানির পক্ষে এমন উপদ্রব কিছু নেই।’
রাশিয়ার চিঠি, রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথকে বোধহয় এই কারণেই দার্শনিক বলা হয়। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করে চলতি বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি। এই যুদ্ধ কবে শেষ হবে, তা কেউ জানে না। স্বাধীন একটি রাষ্ট্রকে দখল করার অভিসন্ধি নিয়েই এই অভিযান। আন্তর্জাতিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সকলেই নিশ্চিত, ইউক্রেন দখল না করে থামবে না রাশিয়া। সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতকে অগ্রাহ্য করে মানুষ নিধনের খেলায় মেতেছে পুতিন বাহিনী। কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, তার কোনও হিসেব নেই।
আন্তর্জাতিকমহলে কোণঠাসা রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট পুতিন এক ঘরে। আমেরিকা ও তাদের মিত্রশক্তি মস্কোর বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। তবুও রাশিয়াকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। পুতিন সে দেশের মানুষের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সেটা জানার পরেও রুশবাসী মুখ খুলতে পারছে না। সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা অপরাধের সমান। এই সেনা আগ্রাসন নিয়ে রুশবাসীর মধ্যে যে ক্ষোভ রয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তাদের হাত-পা বাঁধা।
পুতিন সে দেশের মানুষের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। কারণ, যার বিদ্যা আছে অথচ বোধ নেই, যার শিক্ষা আছে অথচ অনুভূতি নেই, যে পরকে ভালোবাসতে পারে না, সে অতি বড় বিশ্বাসঘাতক।
বিবেকান্দের কথা শেষ করি –
I call him a trator who having been educated, nurse in luxary by the heart-blood of common people, million of toiling poor, never even take thought of them .