আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিহারে আস্ত একটা সেতু গায়েব হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল দেশ। প্রায় একইরকম ঘটনা ঘটল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ধুলোঝড়ে গায়েব হয়ে গেল বুর্জ খলিফা।
ঝড়ের গতিবেগ কত ছিল সেটা আবহাওয়া দফতরের বিবৃতি থেকে স্পষ্ট হবে। ধুলোঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অধিকাংশ এলাকায় অন্ধকার নেমে আসে। কয়েকফুট দূরের কিছু দেখা যাচ্ছিল না। কোনও কোনও এলাকার দৃশ্যমানতা দু হাজারের নীচে নেমে যায়। কিছুদিন আগে একই ধরনের ঘটনার সাক্ষী ছিল ইরাক, কুয়েত, সৌদি আরব, ইরান। ঝড়ের দাপটে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল স্কুল-কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছিল উড়ান চলাচল।
আবহাওয়া দফতর থেকে এদিনের ধুলিঝড়ের খবর দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, আবু ধাবির বাতাসের গুণগত মান ছিল বিপজ্জনক। ধুলোঝড় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে গাড়ি চালকদের সতর্ক করে দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘আবু ধাবি পুলিশের তরফ থেকে সকলকে অবগত করা হচ্ছে, ধুলোঝড় শুরু হয়েছে। রাস্তায় যারা গাড়ি চালাচ্ছেন তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সতর্ক থাকার।’
ঝড় শুরু হলে অনেকেই সেই দৃশ্য মোবাইলে বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেন। ভাইরাল করেন ধুলো ঝড়ে ঢাকা পড়ে যায়ও বুর্জ খলিফা। ধুলো ঝড়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হওয়ায় অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হন। সব থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় আসির, নাজির, হায়েল এবং মদিনায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী রবিবার আরও একটি ধুলোঝড় তৈরি হবে।