আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভয়াবহ আর্থিকমন্দায় ডুবে শ্রীলঙ্কা। জ্বালানির আকাল দেখা দিয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে না জীবনদায়ী ওষুধ। অধিকাংশ হাসপাতালে অপারেশন বন্ধ। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা সরকার স্যানিটারি ন্যাপকিনের মূল্য হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিল। এই সিদ্ধান্ত দেশীয় সংস্থার তৈরি ন্যাপকিনের পাশাপাশি রফতানি করা ন্যাপকিনের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ফার্স্ট-য়ের প্রতিবেদন অনুসারে, ন্যাপকিন তৈরিতে ব্যবহৃত পাঁচটি কাঁচামালের মূল্য হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
রিপোর্ট অনুসারে, ১০টি স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্যাকেটের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা কম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই মূল্য হ্রাসের ফলে বাজারে স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম কমে হবে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকার মধ্যে। অন্যদিকে, বিদেশ থেকে আমদানি করা স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম ১৮ থেকে ১৯ শতাংশ কম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে দ্বীপরাষ্ট্রের লক্ষাধিক মহিলা উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভয়াবহ আর্থিক মন্দার জেরে গত কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি ছিল রীতিমতো অগ্নিগর্ভ। দ্বীপরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের বাড়িতে বিক্ষোভকারীরা চড়াও হয়। জ্বালিয়ে দেয় বাড়ি। বিক্ষোভের হাত থেকে বাঁচতে রনিল বিক্রম সিংহে আশ্রয় নিয়েছিলেন সেনাছাউনিতে। সেখানে তাঁকে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে সরকার নামায় পুলিশ ও আধাসেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালালে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত। তবে দেশের আর্থিক অবস্থার তেমন কোনও উন্নতি না হওয়ায় দ্বীপরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে।