আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের তালিবান শাসকেরা সে দেশের মেয়েদের একাধিক ঘেরাটোপের মধ্যে বেঁধে দিয়েছে। কী পোশাক তারা পরতে পারবে, কী পোশাক পরতে পারবে না, রাস্তায় বেরতে হলে কাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে-এমনতর হাজারো বিধিনিষেধ।
আর ঠিক বিপরীত পথে হেটেছে শাসকদল তালিবান।একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সে কথাই বলছে। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, শাসকদল তাঁদের মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছে। কারও মেয়ে পড়তে গিয়েছে দোহা। কেউ পড়ছে পেশাওয়ারে। অনেকে পড়ছে করাচিতে। কাউকে পাঠিয়ে দেওয়া অন্যত্র। তাদের মধ্যে রয়েছে তালিবান সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কালান্দার ইবাদ, সে দেশের উপবিদেশমন্ত্রী শের মহম্মদ আব্বাস স্ট্যানিকজাই, তালিবান সরকারের মুখপাত্র সুহেল শাহিনের মেয়ে।
পরিবার সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সুহেল শাহিনের দুই মেয়ে দোহার একটি স্কুলে পড়াশোনা করছে। দুই মেয়ের মধ্যে আবার বড় মেয়ে স্কুলের একটি ফুটবল টিমের খেলোয়াড়। কালান্দর ইবাদ, যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক, তিনি তাঁর দুই মেয়েকে ডাক্তারি পড়তে ইসলামাবাদ পাঠিয়েছেন। তালিবান সরকারের উপবিদেশমন্ত্রীও তাঁর মেয়েকে ডাক্তারি পড়াতে দোহায় পাঠিয়েছেন। জানা গিয়েছে, উপবিদেশমন্ত্রীর মেয়ে ছোট থেকেই সেখানকার বিখ্যাত একটি স্কুলে পড়াশোনা করত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর তালিবানরা নারী শিক্ষা প্রসারের ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও তারা পরবর্তীতে আগের অবস্থান থেকে সরে আসে। স্কুল খোলার ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও স্কুলের দরজা আজও বন্ধ। কবে খুলবে স্কুল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। আদৌ খুলবে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন।