আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রবল শক্তিতে রবিবার দুপুরে জাপানে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় নানমাদোল। হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। বন্ধ ট্রেন। বন্ধ রাখা হয়েছে বিমান পরিষেবা। আবহাওয়া দফতর থেকে জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কবার্তা।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা মন্ত্রিসভার জরুরী বৈঠক ডেকেছেন। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ৩০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনকে সব ধরনের পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন। দুর্যোগ কবলিত এলাকার নিকটবর্তী হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কিওসু, ফুকুওকা, সাগা, নাগাসাকি, কুমামতো, ওয়েটা, মিয়াজাকি, কাগোসিমা। আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিওসু। বেশ কয়েকটি এলাকায় বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে বলে আবহাওয়া দফতর থেকে জারি সতর্কবার্তায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, আবহাওয়া দফতর থেকে সতর্কবার্তা জারির পরে পরেই দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের কর্তারা ওই সব শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ শুরু করে। আবহাওয়া দফতর এবং প্রশাসন থেকে বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, তারা যেন রবিবার বাড়ির বাইরে না যান। যে সব বাড়ি অত্যন্ত পুরনো সেই সব বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়েছে।আবহাওয়া দফতরে জানিয়েছে, দুর্যোগ চলবে টানা তিন ঘণ্টা।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমনই এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারান একশোর বেশি মানুষ।