নিজস্ব প্রতিনিধি : আগামীকাল পার্লামেন্ট নির্বাচন আয়োজিত হতে চলেছে ভুটানে। ভুটানে এই নির্বাচনকে ঘিরে নজর রাখছে ভারত ও চিন। সীমান্তে নিজেদের অবস্থানগত কৌশল বাড়াতে ভুটানকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে নয়াদিল্লি ও বেইজিং।
এনিয়ে চতুর্থবার পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে চলেছে ভুটানে। যে সব দল ভুটানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে চলেছে সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভুটান টেনড্রেল পার্টি, পিউপিলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, ড্রুক থুয়েনড্রেল টোসোগপা। ইতিমধ্যে ভুটানে প্রাথমিক রাউন্ডের ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল শেষ রাউন্ডের ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামীকাল শেষ রাউন্ডের ভোট প্রক্রিয়া শুরু হবে সকাল ৮টায়। ভোট শেষ হবে বিকেল চারটে। আগামী শুক্রবার ভোটের ফল প্রকাশ হবে। প্রায় আট লক্ষেরও বেশি ভোটার এই ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন।
ভুটানের এই পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে নজর রাখছে ভারত ও চিন, দুই দেশই। ২০১৭ সালে ভারত ও চিনের মধ্যে ৭২ দিনের সাময়িক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। তার কারণ ছিল, ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী ডোকালাম মালভূমি। ডোকালামের বাটাং লা এলাকায় ভারত, ভুটান ও চিন তিন দেশেরই সীমান্ত রয়েছে। এই এলাকার উত্তর দিকে রয়েছে চিনের চুম্বি উপত্যকা, পশ্চিম প্রান্তে ভারতের সিকিম, দক্ষিণ ও পূর্বে ভুটানের অবস্থান। তাই সীমান্তে নিজেদের অবস্থানগত কৌশল বাড়াতে ভারত ও চিন দুই দেশই তৎপর।
বিশ্বব্যাঙ্কের দেওয়া একটি তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ভারতের সঙ্গে ভুটানের একটি অবস্থানগত ও কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব, আর্থিক সাহায্যকারী ও অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ভুটানের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি কখনই চাইবে না, চিন ভুটানে তার প্রভাব বাড়াক। এদিকে চিনের সঙ্গে ভুটানের অবশ্য কোনও কুটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে সম্প্রতি স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, ভুটানের উত্তরাঞ্চলে চিনের পৃষ্টপোষকতায় নির্মাণকাজ চলছে। এই খবর ভারতের নজরেও এসেছে। ফলে চিনের এই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে যথেষ্ট উদ্বি্গ্ন নয়াদিল্লি।