এই মুহূর্তে




প্রত্যেক মার্কিন সৈন্যকে ‘‌ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’‌ দেওয়া হবে, জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘোষণা ট্রাম্পের

নিজস্ব প্রতিনিধি:‌ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকান সেনাদের জন্য একটি বিশেষ নগদ অর্থ প্রদানের ঘোষণা করেছেন। যা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এই নগদ অর্থ দেওয়াকে সশস্ত্র বাহিনীর সেবা এবং ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যার পোশাকি নাম ‘‌ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’‌ বা ‘‌যোদ্ধা লভ্যাংশ’‌। শুধু তাই নয়, এমন সময় এই অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাই মার্কিন মুলুকে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।

এদিকে আমেরিকার প্রতিষ্ঠা বছরের সঙ্গে এই অর্থ বরাদ্দের সংযোগ স্থাপন করে ডোলান্ড ট্রাম্প বলেন, বড়দিনের আগে ১৪ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি সেনাবাহিনীর কর্মীদের প্রত্যেকে ১,৭৭৬ মার্কিন ডলার করে পাবেন। আর এটি তাঁদের সেবা এবং ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হচ্ছে। বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‌শুল্কের কারণে এটি করা হচ্ছে। সম্প্রতি পাস হওয়া একটি বড় সুন্দর বিলের সঙ্গে আজ রাতে আমি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ১৭৭৬ সালে আমাদের জাতির প্রতিষ্ঠার সম্মানে ১,৪৫০,০০০ এরও বেশি সামরিক বাহিনীর সদস্য ক্রিসমাসের আগে একটি বিশেষ যোদ্ধা লভ্যাংশ পাবেন। আমরা প্রত্যেকটি সৈনিককে ১,৭৭৬ মার্কিন ডলার পাঠাচ্ছি।’‌

অন্যদিকে একটা প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী বড় কোনও যুদ্ধে যেতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?‌ নাকি অন্য কোনও দেশকে মার্কিন সেনা দিয়ে ঠাণ্ডা করতে চাইছেন?‌ তাই এমন ‘‌ওয়ারিয়র ডেভিডেন্ড’‌ দিয়ে সেনাবাহিনীকে চাঙ্গা করতে চাইছেন ট্রাম্প। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, ‘‌চেক ইতিমধ্যেই আসার পথে। শুল্কের কারণে আমরা কারও ধারণার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করেছি এবং বিলটি আমাদের সাহায্য করেছে। আমাদের সেনাবাহিনীর চেয়ে এটার যোগ্য আর কেউ নেই। তাই আমি সকলকে অভিনন্দন জানাই।’‌ এমনকী এই অর্থ প্রাপকদের ক্ষেত্রে একটা নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৩০ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে ০–৬ এবং তার নিচে বেতন গ্রেড যাঁদের ও সক্রিয়–কর্তব্যরত সদস্যরা এই ‘‌ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’‌ পাবেন। একইসঙ্গে ৩০ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে ৩১ দিন বা তার বেশি সময়ের সক্রিয়–কর্তব্যরত সদস্যরা এই এককালীন ‘‌ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড’‌ প্রদানের জন্য যোগ্য।

এছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে যখন তিনি তাঁর তলানিতে চলে যাওয়া জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে মার্কিন মুলুকে। জনমত সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, বেশিরভাগ মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরা ট্রাম্পের অর্থনীতি পরিচালনায় হতাশ। কারণ তাঁর শুল্ক বৃদ্ধির পর মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিয়োগের গতি কমে গিয়েছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, ‘‌আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আবাসন সংস্কার পরিকল্পনা করা।’‌ তবে তিনি কোনও বিস্তারিত তথ্য এই বিষয়ে দেননি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ডিগ্রি জালিয়াতির দায়ে বরখাস্ত ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি, ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের

ক্যাবের ভিতর অচেতন যুবতীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ চালকের বিরুদ্ধে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক গ্রেফতার

হবু বরের সঙ্গে ভেঙেছে সম্পর্ক,‌ অভিমানে AI সঙ্গীকে বিয়ে জাপানি তরুণীর

অনুমতি ছাড়াই সৌদিতে নির্বাচনী সভা! আটক একাধিক বাংলাদেশি, সতর্ক করল দূতাবাস

‘টাইম হ্যায়, ইয়ে মাফি মাঙ্গ লে…’, হিজাব বিতর্কে নীতীশকে হুমকি পাকিস্তানি ডনের

এক বছরে ইউক্রেনের ৫ লক্ষ সেনার মৃত্যু হয়েছে , দাবি রাশিয়ার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ