নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: শুধু মুখে হুঙ্কার ছাড়া নয়, ইউক্রেন ইস্যুতে এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে চরম সঙ্ঘাতের রাস্তায় হাঁটলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইউক্রেনের লুহানেস্ক ও ডোনেস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় রাশিয়ার পাঁচটি ঙ্যাঙ্ক ও তিন ধনকুবেরের উপরে মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা জারি করল ব্রিটেন সরকার। যে তিন ধনকুবেরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ গেনাডি তিমচেনকো।
মঙ্গলবার সকালেই পূর্ব ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে রুশ সেনা। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনে রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা লুহানেস্ক ও ডোনেস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছিল পুতিন প্রশাসন। আর রাশিয়ার এই দাদাগিরিতে ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা আঘাত হানার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন ও জার্মান সরকার। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলের অনুরোধকে উপেক্ষা করে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ সেনা ঢুকে পড়ার পরেই রাশিয়ার বিতর্কিত গ্যাস পাইপলাইন ‘নর্ড স্টিম-২’ এর অনুমোদন বন্ধের ঘোষণা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শোলজ। এর ফলে ইউরোপের দেশগুলিতে গ্যাস রফতানির জন্য রাশিয়ার পক্ষ থেকে যে পাইপলাইন বসানো হয়েছে, তা চালু হবে না।
জার্মানির পরে রাশিয়াকে সবক শেখানোর রাস্তায় হেঁটেছে ব্রিটেনও। সংসদে দেওয়া ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, রাশিয়ার আগ্রাসনের জবাব দিতে পাঁচটি রুশ ব্যাঙ্ক ও তিন রুশ ধনকুবেরের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওই নিষেধাজ্ঞার ফলে ব্রিটেনে থাকা পাঁচ ব্যাঙ্ক ও তিন ধনকুবেরের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে। এমনকী ওই সব ব্যাঙ্কের কোনও আধিকারিক ও তিন ধনকুবের ব্রিটেনে প্রবেশ করতে পারবেন না। যে পাঁচ রাশিয়ান ব্যাঙ্কের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেই ব্যাঙ্কগুলি হলো-রসিয়া, আইএস ব্যাঙ্ক, জেনারেল ব্যাঙ্ক, প্রোমসাভায়াজ ব্যাঙ্ক এবং ব্ল্যাক সি ব্যাঙ্ক। ব্রিটেনের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মস্কোর পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।