আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা-ইজরায়েলি হামলার প্রায় দেড় মাস সম্পন্ন। কিন্তু যুদ্ধ বিরতি তো দুরের কথা প্রতিদিনই বাড়ছে ইজরায়েলি হামলা। বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে নতুন করে ইজরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়। এতে নিহত হয়েছেন একই পরিবারের ৫২জন সদস্য। দাদা থেকে নাতি – তিন প্রজন্মই পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ গাজা থেকে আলজাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হওয়ার পরও বুধবার গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইজরায়েল। বোমা হামলায় খান ইউনিসের একটি আবাসিক ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। উত্তর গাজা থেকে পালিয়ে দক্ষিণ গাজায় আশ্রয় নিয়েছিলেন প্যালেস্তাইনবাসীরা। কিন্তু যেখানেও একই অবস্থা। প্রতিনিয়ত ইজরায়েলি বোমা হামলার শিকার হচ্ছে প্যালেস্তাইনবাসীরা।
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর গত সপ্তাহে বুধবার (২২ নভেম্বর) কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় ইজরায়েল যুদ্ধ বিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। যুদ্ধ বিরতির প্রধান শর্ত – গাজায় চারদিনের যুদ্ধ বিরতি দেবে ইজরায়েল। এছাড়াও হামাসের হাতে বন্দি ৫০ জন ইজরায়েলীকে মুক্তির বিনিময়ে ইজরায়েল কারাগারে বন্দি ১৫০ প্যালেস্তাইনবাসীকে মুক্তি দেবে। এ চুক্তির অন্যতম প্রধান শর্ত; যা বুধবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
এদিনই হামাসের কর্মকর্ত আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত সাময়িক যুদ্ধ বিরতি বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়ার কথা।
তবে গাজায় বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও, হামাসের এই বক্তব্যে ইজরায়েলি কর্মকর্তারা বিরতি ঠিক কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর হওয়া হামাস গোষ্ঠীর রকেট হামলায় নিহত প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। হামাস গোষ্ঠী পণবন্দি করে ২০০ জনের বেশি ইজরায়েলিকে। তারপর থেকেই গাজাকে হামাস মুক্ত করতে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। বোমা বর্ষণের তীব্রতায় ইতিমধ্য়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি প্য়ালেস্তাইনের গাজার। বন্ধ খাবারের সরবরাহ। অভুক্ত হাজার হাজার শিশু। সাথে বেড়ে চলেছে মৃত্য়ু মিছিল।