আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাহস বটে।
আমেরিকার সঙ্গে তাইওয়ানের বাণিজ্য নিয়ে কথা প্রসঙ্গে এককথায় এটাই বলতে হয়। তাইপেই এবং ওয়াশিংটন বৃহস্পতিবার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। যে সব ক্ষেত্রে নিয়ে আগামীদিনে এই দুই দেশের মধ্যে কথা হবে তার মধ্যে রয়েছে কৃষি, ডিজিটাল বাণিজ্য। বাণিজ্যিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে যে সব প্রতিবন্ধকতা বা সমস্যা রয়েছে, তা নিরসনেও উভয়পক্ষ একমত হয়েছে।
আমেরিকার সহকারি বাণিজ্য প্রতিনিধি সারাহ বিয়াঞ্চি জানিয়েছে, আগামীদিনে তাইওয়ানের সঙ্গে শুরু হবে বাণিজ্যিক আদান-প্রদান। রাজনৈতিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুতের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিকস্তরের বাণিজ্যিক সম্পর্ককেও আগামীদিনে আরও মজবুত ও স্থিতিশীল করা হবে। এই ক্ষেত্রে উভয় দেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তত।
টুইট করেছে তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে – ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতায় বিশ্বাসী দুটি দেশের মধ্যে শুরু হবে আমদানি রফতানি। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল আগামীদিনে একটা নতুন মডেল দেখতে পাবে। ওয়াশিংটনে তাইপেয়ের প্রতিনিধি সিয়াও বি-খিম টুইট করে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর টুইই – আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। তাইওয়ান অবিলম্বে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু করতে চায়।
চুপ করে বসে নেই চিন। তাদের বাণিজ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছে, তাইওয়ান চিনের অংশ। এই ধরনের সরকারিস্তরে আলোচনা কোনওভাবেই সমর্থন করা যাচ্ছে না। এর ফলে আমেরিকার সঙ্গে চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রভাবিত হবে। এই আলোচনাকে চিন কোনও ভাবেই সমর্থন করে না।