নিজস্ব প্রতিনিধি: মায়ের সঙ্গে প্রসাধনীর ছোট দোকান থেকেই শুরু হয়েছিল ব্যবসায় হাতেখড়ি। তার পর একের পর এক হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিকও বনে গিয়েছিলেন। ভিয়েতনামের অন্যতম ধনকুবের হিসাবে পরিচিতও হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু পরে জানা যায় ব্যাঙ্ক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করে সম্পদের পাহাড়ে চড়েছিলেন ট্রুং মাই ল্যান। অবশেষে বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের এক আদালত ব্যাঙ্ক জালিয়াতির দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে অধস্তনদের কাঁধেই দোষ চাপিয়েছেন ট্রুং।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ জানিয়েছে, ফাঁসির সাজা পাওয়া ট্রুং মাই ল্যান ভিয়েতনামের রাজধানী হো চি মিন সিটির এক সিনো-ভিয়েতনামে জন্ম নিয়েছিলেন। মায়ের সঙ্গে ছোট বেলায় একটি ছোট প্রসাধনী দোকান চালাতেন। তার পরে জমি-বাড়ি কেনাবেচার ব্যবসায় নামেন। সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে রমরমিয়ে চলতে থাকে তাঁর ব্যবসা। এর পরে সাইগন কর্মাশিয়াল ব্যাঙ্ককে (এসসিবি) কব্জা করেন তিনি। তার পরে একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে ওই ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ-লক্ষ ডলার ঋণ নিতে থাকেন। সেই ঋণের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে গোপন কুঠুরিতে নিজের কব্জায় রেখেছিলেন। সায়গন কর্মাশিয়াল ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার হাতিয়েছিলেন। তারব মধ্যে নিজের গাড়ির চালককে দিয়ে বাড়ির বেসমেন্টে ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ রেখেছিলেন।’
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন ওই জালিয়াতির পিছনে রয়েছেন ট্রুং মাই ল্যান ও তাঁর স্বামী। এর পরেই শুরু হয় ধরপাকড়। ট্রুং-সহ মোট ৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। গত সপ্তাহেই আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করার পাশাপাশি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন ভিয়েতনামের অন্যতম মহিলা ধনকুবের। যদিও তাঁর সেই হুমকিকে পাত্তাই দেননি বিচারককরা। মামলায় প্রায় ২,৭০০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে ট্রুং মাই ল্যানকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান বিচারকরা।