এই মুহূর্তে




অদ্ভুত নিয়ম! এখানে বিয়ের আগে বরের কৌমার্যের পরীক্ষা নেন কনের ‘মাসি’




নিজস্ব প্রতিনিধি: অতীত যুগ গিয়েছে! বর্তমানে বিয়ের জন্যে বর-কণে দুজনেই দুজনকে পরখ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। সে ক্ষেত্রে পরিবার মাথা ঘামায় না। যদিও এখন বিয়ের আগে মেয়েদের কুমারিত্ব থাকতে হবে বা ছেলেদের কুমারিত্ব থাকতে হবে, এ নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। মনের মিলই হল বড় কথা! বিয়ের আগে একাধিক সম্পর্ক থাকতেই পারে, তা অনেকের চোখে কোনও অপরাধ নয়। তবে যাই বলুন না কেন, বিয়ের সময়ের কিন্তু কণের উপরেই বেশি নিয়মকানুন বহাল থাকে। যদিও ভারতীয় সংস্কৃতি অন্যান্য দেশে চলে না। এমন একটি জায়গা আছে, যেখানে বিয়ের আগে হবু বরের ‘ভার্জিনিটি বা কুমারিত্ব’ দেখে নেওয়া হয়। তাও আবার এই পরীক্ষাটি করেন কণের ‘মাসি’।

হ্যাঁ, এই অদ্ভূত নিয়মটি রয়েছে উগান্ডায় ‘বানিয়াঙ্কেল’ উপজাতি সমাজে। যেখানে কনের ‘মাসি’র ভূমিকা শুধুমাত্র বিয়ের ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন না। বিয়ের দিন, কনের মাসিকে বরের ‘কুমারিত্ব’ ও পরীক্ষা করতে হয়। পশ্চিম উগান্ডার কিছু অংশে বসবাসকারী বানিয়াঙ্কেল উপজাতি হল একটি যাযাবর পশুপালক সম্প্রদায়। যার শিকড় ১৫ শতকের আনকোল নামক বান্টু রাজ্য থেকে শুরু। এই উপজাতি সমাজের একটি অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে। যদিও বর্তমানে এই বিবাহের ঐতিহ্য বিলুপ্তপ্রায়। তবুও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছে এই উপজাতি সম্প্রদায়ের অদ্ভূত বিয়ের নিয়ম। এই উপজাতির কোনও ছেলে-মেয়ের বিয়ের আগে কনের মাসিকে বরের কুমারীত্ব পরীক্ষা করতে হয়। এই ঐতিহ্যের অধীনে, কনের মাসিকে বরের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে বুঝতে হয়, বর কুমার কিনা। অর্থাৎ তাঁর সঙ্গে আগে কারো সম্পর্ক হয়েছিল কিনা! অপরদিকে বরের কাকাকেও কণের ‘ভার্জিনিটি’ পরীক্ষা করতে হয়। যাতে বোঝা যায় যে, কণের আগে কোথাও সম্পর্ক ছিল নাকি, বা তিনি কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন কিনা!

এই অদ্ভূত বৈবাহিক নিয়মটি এখনও বিতর্কের ঝড় তোলে। বিয়ের দিন কনের বাড়িতে বড় ভোজসভার আয়োজন করা হয়। এর পরে, বরের বাড়িতে আরেকটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিবাহ সম্পন্ন হয়। তবে, এর আগে বর-কনের কুমারিত্ব পরীক্ষা করেন তাঁদের পরিবার। যদি কনে পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়, তাহলে তাকে সামাজিক বয়কট এমনকি মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। তবে এই ঐতিহ্য এখন বিলুপ্তপ্রায়। এর জন্যে ৮ বছর থেকেই কনেকে প্রস্তুত করেন তার মাসিমা। বানিয়াঙ্কেল উপজাতিতে, যখন কোনও মেয়ে আট বা নয় বছর বয়সী হয়, তখন থেকেই তাকে পারিবারিক জীবনের জন্য এবং বিশেষ করে স্ত্রীর ভূমিকার জন্য প্রস্তুত করতে শুরু করেন তাঁর মাসিমা। এই সময়ে, মেয়েদের বিয়ের আগে কারও সঙ্গে কোনও ধরণের সম্পর্ক রাখা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। যদি কোনও মেয়ে বিয়ের আগে এটি করত, তাহলে তাকে সমাজ থেকে বহিষ্কার করা হত অথবা তার জীবন বিপন্ন হত। মোটা মেয়েদের সুন্দরী বলে মনে করা হত। তাছাড়া, বানিয়াঙ্কেলের মানুষরা পাতলা শরীরকে আকর্ষণীয় মনে করে না। তাদের কাছে স্থূলতা সৌন্দর্যের প্রতীক। অতএব, আট বা নয় বছর বয়স থেকেই মেয়েদের মোটাতাজা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাদের মাংস, বাজরার দই এবং প্রচুর পরিমাণে দুধ খেতে বাধ্য করা হয় যাতে তারা দ্রুত ওজন বাড়াতে পারে এবং বিবাহের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘প্রত্যেক আমেরিকান আমাদের লক্ষ্যবস্তু’, মার্কিন হামলার পর ইরানি গণমাধ্যমের বড়সড় সতর্কবার্তা

ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানোয় ‘গডফাদার’ ট্রাম্পকে অভিনন্দন নেতানিয়াহুর

ইরানের ৩ পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা আমরিকার, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রণদুন্দুভি বাজালেন ‘খ্যাপাটে’ ট্রাম্প

সত্যিই কী জোড়া কলা খেলে যমজ সন্তানের জন্ম হয়, বিজ্ঞান কী বলছে?

ইরানকে পরমাণু কর্মসূচিতে সাহায্য করতে প্রস্তুত রাশিয়া, জানালেন পুতিন

ব্রাজিলে এয়ার বেলুন বিধ্বস্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু, আহত ১৩

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ