আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একই যাত্রায় পৃথক ফল। সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ককে যখন দুহাত উজাড় করে সাহায্য করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের ধনী দেশগুলি, তখন মানবিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত থেকে গিয়েছে একই ভূমিকম্পে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়া। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটিতে অসহায় মানুষগুলির জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর মতো মানবিকতা দেখায়নি মানবাধিকারের জ্ঞান বিতরণকারী বিশ্ব শান্তির ঘোষিত শত্রু আমেরিকা সহ পশ্চিমী দেশগুলি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এবার মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সিরিয়ায় যাচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস অ্যাডানাম গেব্রিয়েসাস। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজেই টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন ‘হু’ প্রধান।
টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সিরিয়ার উদ্দেশে রওনা করেছি। সেখানকার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যাতে কোনও রকমে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করা হবে আমার প্রধান লক্ষ্য। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে চিকিৎসা পৌঁছে দেব। সিরিয়া জুড়ে আমাদের দীর্ঘদিনের যে কর্মকাণ্ড তা যাতে কোনওভাবে থমকে না যায় তা নিশ্চিত করা হবে।’
সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্কের পাশাপাশি কেঁপে উঠেছিল সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ওই এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৩ হাজার ৩১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ত্রাণের অভাবে কার্যত অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে ভূমিকম্পে সর্বস্বান্ত হওয়া বাসিন্দাদের। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে। সাহায্যের আশায় চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছেন সব হারানো মানুষগুলি। ভূমিকম্পের তিনদিন বাদে বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘের পাঠানো সামান্য ত্রাণ পৌঁছেছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায়।