নিজস্ব প্রতিনিধি: সঞ্জু স্যামসন ও বিরাট কোহলিরা মোট ২৭ বার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে আইপিএল-এর আসরে। সেই ম্যাচের পরিসংখ্যান কিন্তু বলছে বিরাট মাত্র ১টি ম্যাচের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালসের থেকে। কাজেই রবিবার-এর আইপিএল-এ প্রথম ম্যাচটাতেও লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। এই ম্যাচের আগে রাজস্থান রয়্যাল রয়েছে লিগ টেবিলের এক নম্বর স্থানে। বিরাটদের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়ার আগে ৬টি ম্যাচের ৪টি তে জয় পেলেও ২টি ম্যাচে হারতে হয়েছে রাজস্থানকে।
অন্য দিকে বিরাটরা রয়েছেন ৬ নম্বর স্থানে। ৬টি ম্যাচ খেলে ৩টি জয়, ৩টি হারতে হয়েছে তাঁদের। কাজেই রাজস্থানের কাছে যেমন চ্যালেঞ্জ রয়েছে এক নম্বর স্থান ধরে রাখার তেমনি, বিরাটদের রয়েছে লিগ টেবিলের ওপরের দিকে ওঠার জন্য রবিবার ম্যাচটাতে জয় পেতেই হবে।
আরও জানতে পড়ুন : শুরবাড়ির ২২ গজে ম্যাচ জিততে মরিয়া বাংলার জামাই ধোনি
বিরাটদের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়ার আগে লকনউ-এর কাছে ১০ রানে হারতে হয়েছে রাজস্থান রয়্যালকে। কেননা কেএল রাহুলদের দলের বিরুদ্ধে তিন ছন্দে থাকা ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সওয়াল, জস বাটলাররা রান পেলেও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। ব্যর্থ-র তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন সঞ্জুও। ফলে যা হওয়ার তাই হল। কাজেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে গেলে অবশ্যই বড় রান পেতে হবে যশস্বী, বাটলার এবং সঞ্জুকে। শুধু রান করলেই হবে না, সঙ্গে টিকেও থাকতে হবে ক্রিজে।
অন্য দিকে সঞ্জুদের মতো বিরাটরা এই ম্যাচের আগে শিখর ধাওয়ানের পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছ ২৪ রানে। সঞ্জুদের মতো বেঙ্গালুরুও কিন্তু ব্যাটিং লাইন আপে মূলত দুজন-এর ওপর নির্ভরশীল। তারমধ্যে একজন হলেন বিরাট কোহলি এবং অপর জন হলেন ডুপ্লেসি। দুজনেই ছন্দে রয়েছেন। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে দুজনেই অর্ধ্বশতরান পূর্ণ করলেও বিরাট বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। সেক্ষেত্রে ডুপ্লেসি একাই রান তুলে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। কাজেই রাজস্থান বোলারদের প্রথম লক্ষ্যই যে এই দুজন ব্যাটার হবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বোলিং বিভাগেও বিরাটদের দল একটু ব্যাকফুটে রয়েছে। মহম্মদ সিরাজ, হাসারাঙ্গা, ম্যাক্সুওয়েল, হর্ষল প্যাটেলরা এখনও সেইভাবে নিজেদের ছন্দ ফিরে পাননি। এটা কিন্তু বেঙ্গালুরুর কাছে চিন্তার বিষয়। সেই দিক থেকে রাজস্থান অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে যজুবেন্দ্র চাহাল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ট্রেন্ট বোল্টরা যে ছন্দে রয়েছেন তাতে বিরাটদের কপালে চিন্তা থাকাটাই স্বাভাবিক।
চেন্নাস্বামীর পিচ রিপোর্ট অনুযায়ী প্রথম ইনিংসে গড় স্কোর হতে পারে ১৭০-এর আশেপাশে, এবং দ্বিতীয় ইনিংসে গড় স্কোর হতে পারে ১৫৩ রানের মতো। প্রথম যে দল ব্যাটিং করেছে তারা জিতেছে ৩৪ বার আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা দল জিতেছে ৪৭ বার।
রবিবার হাইভোল্টেজ ম্যাচে কে জিতবে সঞ্জু না বিরাট তা অবশ্য সময়ই বলবে।