এই মুহূর্তে




১১২ ফুটের দুর্গা, অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জেলা শাসককে পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: কামালপুর(Kamalpur), এই গ্রামের নামই এখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে। সৌজন্যে বাংলার সব থেকে বড় দুর্গার নির্মাণ। ১১২ ফুটের(112 Feet Durga Idol)। নদিয়া(Nadia) জেলার অন্যতম মহকুমা শহর রানাঘাট(Ranaghat) থেকে ২০ কিমি দূরে ধানতলা থানার অধীনে রয়েছে কামালপুর গ্রামখানি। নিস্তরঙ্গ জনজীবনের সেই গ্রামেরই অভিযান সঙ্ঘ এবারে দুর্গাপুজোয় ১১২ ফুটের দুর্গাপ্রতিমা বানানোর ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছে। লক্ষ্য ছিল Guinness Books of World Records-এ নাম তোলা। তার জন্য প্রচেষ্টাও কিছু কম ছিল না। বিজ্ঞাপনের চাকচিক্য, মোটা টাকার স্পন্সরশিপ ছাড়াই মাঠে নেমে পড়েছিলেন গ্রামের আট থেকে আশি। বেশ কয়েক বিঘা ফুল চাষের জমি খালি করে প্রমাণ সাইজ দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করতে ভবিষ্যতের সঞ্চয় থেকে যে যেমন পেরেছেন উজাড় করে দিয়েছেন অর্থ। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষরা স্বপ্ন দেখেছিলেন সবচেয়ে বড় দুর্গামূর্তি পুজোর। ইচ্ছে ছিল গোটা রাজ্যকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার। ইতিমধ্যেই ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। আর সেই পুজোর জন্যই কিনা পুলিশ থেকে জেলা প্রশাসন অনুমতি দিচ্ছে না। এই সব কিছু খতিয়ে দেখে এবার কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) নদিয়ার জেলা শাসককে নির্দেশ দিল পুজোর অনুমতি দেওয়া যায় কিনা তা আরও একবার পুনর্বিবেচনা করে দেখতে।

আরও পড়ুন, ‘আমরা কোনও বনধ সমর্থন করি না, পাহাড়ে সমস্যা তৈরি করছে একটি রাজনৈতিক দল’, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

২০টি গ্রাম এবং একাধিক ক্লাব সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসেছে ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা নির্মাণ ও তার পুজোর জন্য। কিন্তু এত বড় দুর্গা দেখার জন্য উপচে পড়া ভিড় হলে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথাটি মাথায় রেখে এই প্রতিমা তৈরির অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। যদিও কাজও থেমে থাকেনি। শিল্পী অপূর্ব রায়ের নেতৃত্বে ৪৫জন কারিগর রাতদিন কাজ করে চলেছেন এখনও প্রতিমা নির্মাণ শেষ করতে। পুলিশ কেন অনুমতি দেয়নি? প্রধান কারণ রাস্তা। কামালপুর থেকে একদিকে আইসমালি আর অন্যদিকে ধানতলার মধ্যে যোগাযোগ বলতে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার একটি সর্পিল রাস্তা। চাষ জমির ওপর দিয়ে যেটা এঁকেবেঁকে চলে গিয়েছে। মেরেকেটে রাস্তাটি ৮ ফুট চওড়া। প্রশাসনের দাবি, এত বড় পুজো দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমাবেন। অথচ এত সরু রাস্তা সেই ভিড় সামলানোর উপযুক্তই নয়। সামান্য এদিক ওদিক হলে বহু মানুষের পদপৃষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ দফতর, দমকল, পুলিশ সহ একাধিক প্রশাসনিক বিভাগ অনুমতি দিতেই চায়নি। বাধ্য হয়েই উদ্যোক্তারা দ্বারস্ত হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। জেলাশাসকের ওপর সেই দায়িত্ব দিয়েছিল আদালত। জেলা শাসন অবশ্য পুজোর অনুমতি না দেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন, দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যা প্রকাশের মঞ্চ থেকেই কর্মীদের বার্তা দেবেন মমতা

এদিন কলকাতা হাইকোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানি। মামলাটি ওঠে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। সেখানে পুজো উদ্যোক্তারা জানান, মণ্ডপের সামনের ১২ ফুটের সংকীর্ণ রাস্তায় প্রবল ভিড় হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। সেই রাস্তা ব্যবহার না করে দূর থেকে ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা করা হবে। জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ আগেই অবশ্য হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, পুজোর অনুমতি সংক্রান্ত যে সরকারি নিয়ম রয়েছে তা মানেননি এই পুজোর উদ্যোক্তারা। আর সেই কারণে মেলেনি অনুমতি। এদিন সেই প্রসঙ্গটিও ওঠে। পুজো উদ্যোক্তারা জানান, গ্রামের মানুষেরা চাইছেন পুজোটা হোক। তাই তাঁরা প্রশাসনকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে রাজি আছেন। গোটা রাজ্যকে দেখিয়ে দেওয়া যেত সেক্ষেত্রে যে গ্রামও পারে শহরকে টেক্কা দিতে। কেবল রাস্তা সরু বলে একটা পুজো হবে না? এটা মানা যায় না। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবুও তাঁরা প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে পুলিশকে সাহায্য করতে রাজি আছেন। তবে হঠাৎ করে রাস্তা তো চওড়া করা যাবে না। তবে ভিড় নিয়ন্ত্রণের সব রকম ব্যবস্থা আমরা তাঁরা রাখছেন। এই সব শুনে বিচারপতি জেলা শাসককে নির্দেশ দেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখতে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি’, রতন টাটার প্রয়াণে শোকবার্তা মমতার

বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পেল কোন কোন পুজো? দেখে নিন তালিকা…

নদিয়া জেলার কোন কোন পুজো পেল বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান?

গণ ইস্তফার সস্তা নাটক সিনিয়র চিকি‍ৎসকদের, নিয়ম মেনে কেন ইস্তফা দিচ্ছেন না উঠেছে প্রশ্ন

ফুচকাওয়ালা নিগ্রহকাণ্ডে মুখ খুলল সিংহী পার্ক পুজো কমিটি

ফেলনা জিনিস দিয়ে দুর্গাপ্রতিমা বানিয়ে তাক লাগাল স্কুল পড়ুয়া

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর