নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election) ভোটগ্রহণের(Polling Day) পালা। আর সেই সময় থেকেই সামনে আসতে শুরু করে একের পর এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর সংবাদ। কার্যত এর আগে বাংলার বুকে পরিবর্তনের পরে আর কোনও নির্বাচনে একদিনের মধ্যে এতজন তৃণমূল(TMC) কর্মীর মৃত্যুর(Death) ঘটনা ঘটেনি। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন খুন হয়েছেন মোট ১৬জন। এদের মধ্যে ১০জন আবার তৃণমূলকর্মী। একনজরে দেখে নিন কোন তৃণমূলকর্মী কোথায় খুন হলেন।
আরও পড়ুন শাসকের জনসমর্থন ও সংগঠনের সঙ্গে এঁটে না উঠেই খুনের পথে বিরোধীরা
এদিন সকালে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে। সেখানে খুন হন ২জন তৃণমূলকর্মী। একজন রেজিনগরে অপরজন খড়গ্রামে। খড়গ্রামের রতনপুরে খুন হন বাবর আলি নামে এক তৃণমূল কর্মী। অন্যদিকে রেজিনগরে খুন হন ইসমেইল জাফর নামে এক তৃণমূল কর্মী। মালদা জেলার মানিকচকে খুন হন মানেক শেখ নামে এক তৃণমূলকর্মী। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের রামপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতে খুন হন তৃণমূলের বুথ সভাপতি গণেশ দাস। নদিয়া জেলার চাপড়ার কল্যাণদহে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটেছে। নাম তাঁর আমজাদ হোসেন।
আরও পড়ুন নন্দীগ্রামে বসেই বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন শুভেন্দু
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বোমার আঘাতে খুন হয়েছেন এক তৃণমূলকর্মী। নাম তাঁর আনিসুর ওস্তাগর। ইংরেজবাজারে বোমাবাজিতে নিহত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীর শাশুড়ি যিনি নিজেও তৃণমূলকর্মী। নাম তাঁর তসলিমা বেওয়া। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় খুন হয়েছেন তৃণমূলকর্মী গৌতম রায়। উত্তর দিনাজপুরে খুন হয়েছেন ১জন তৃণমূলকর্মী। তিনি আবার ভোটের প্রার্থী। মহম্মদ শাহেনশা নামের এক তৃণমূলকর্মী খুন হন চাকুলিয়ায়। অপর একজন খুন হন হেমতাবাদে।