নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ স্মরণ সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসছেন। বাংলার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টানে, তাঁর কথা শুনতে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, রাজ্যের দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ইতিমধ্যে কলকাতা শহরে এসে হাজির হয়েছেন। আবেগ আর উন্মাদনায় ভর করে কেউ পায়ে হেঁটে এসেছেন শহরে, কেউ এসেছেন সাইকেলে চেপে। আবেগে ভর করে ‘দিদি’কে দেখতে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থেকে ধর্মতলায় এসে পৌঁছেছেন ৯০ বছরের বুধি মু্র্মু। ২১ জুলাই সমাবেশে বুধি মু্র্মু সম্ভাব্য প্রবীণতম সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে।
অশক্ত শরীর, তাতে কী! লাঠি হাতে, গলায় গামছা ও কাঁধে ব্যাগ নিয়ে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন সুদূর দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে কলকাতায়। উদ্দেশ্য জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনবেন ২১ জুলাই শহীদ স্মরণ সমাবেশ থেকে। ২ বছর আগেও তিনি ধর্মতলায় এসেছিলেন ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে। এ বছরও সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি আগেভাগেই হাজির হয়েছেন কলকাতায়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় ২১ এর সমাবেশে যোগ দেবেন ‘দিদি’র অনুরাগী ৯০ বছর বয়সী বুধি মুর্মু।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর এলাকার বাসিন্দা বুধি মুর্মু। বুধবার ভোরে বুধি মুর্মু গঙ্গারামপুর থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে এসে পৌঁছন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছন। বুধবার রাতে তিনি নির্ধারিত ক্যাম্পে থাকবেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সমাবেশে যোগ দেবেন। দিদিকে তিনি কোনওদিন কাছ থেকে দেখেননি। এখনও পর্যন্ত একটিও ২১ জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশে যোগ দেওয়া থেকে বিরিত থাকেননি। গত ২০২০ এবং ২০২১ সালে কোভিড পরিস্থিতির কারণে সভা হয়নি। দু বছর পর আবার তিনি কলকাতায় জননেত্রীর কথা শুনতে হাজির হয়েছেন তিনি। দিদির সঙ্গে কোনওদিন কথা হয়েছে কি না এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, না কথা হয়নি। তবে কথা হলে তিনি দিদিকে জানাতে চান তাঁর অন্তরের কথা। কী সেই অন্তরের কথা? অশীতিপর বৃদ্ধা জানান, ‘কাজকর্ম করতে পারি না, খাব কেমন করে?’ সেই কথা জানাবেন তাঁর প্রিয় নেত্রীকে।