এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ভালবাসাকে ওরা বাঁধলেন বরমাল্যের বাঁধনে

নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে ‘প্রাইড মান্থ’(Pride Month) জুন। সেই মাস শেষ হতে না হতেই একটা নতুন অধ্যায়ের শুরু হয়ে গেল খাস কলকাতার(Kolkata) বুকে। বিবাহবন্ধনে(Marriage) আবদ্ধ হলেন দুই যুবক। একজন বাঙালি, অপরজন অবাঙালি। কিন্তু দুইজনই মনে প্রাণে ভারতীয়। একজন রবীন্দ্রসঙ্গীতে গলা ভেজান তো অন্যজন ক্রিকেটের জন্য হুল্লোড় তোলেন। একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, অন্যজন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন, বৃষ্টিতে ভিজতেন, ঠোঁটে ঠোঁট ঠেকিয়ে উষ্ণতা খুঁজে নিতেন। এবার প্রকাশ্যেই তাঁরা নিজেদের জীবনকে বেঁধে ফেললেন সাতপাকের বাঁধনে। রবি সন্ধ্যায় বিয়ে হয়ে গেল ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেক রায়ের(Abhishek Ray) সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বয়ফ্রেন্ড চৈতন্য শর্মার(Chaitanya Sharma)। আর সেই বিয়ে হল খাস কলকাতার বুকে।

কে কাকে বিয়ে করলেন, ঠিক করলেন না ভুল করলেন সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা এটাই যে ওরা সাহস দেখালেন। সমাজের রক্তচক্কু, বক্রোক্তি, ঘৃণা এইসব কিছুকে দূরে সরিয়ে রেখে নিজেদের জীবনযাপনটা তাঁরা প্রকাশ্যে উদযাপনে নিয়ে চলে গেলেন। যে দেশে সমকামিতা এখনও ‘ঘৃণা’র বিষয়বস্তু, সে দেশে প্রকাশ্যে চার হাত এক হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। সত্যি করে বলতে গেলে এর জন্য অনেক মানসিক সাহসের দরকার পড়ে। হতে পারে পেশাগত জীবনে অভিষেক ও চৈতন্য সুপ্রতিষ্ঠিত বলে এই সিদ্ধান্ত নিতে বেশি দেরি করেননি। আর পাঁচটা পুরুষ যুগলের মতো নিজেদের সম্পর্ককে শুধু শরীরে বেঁধে রাখতে চাননি। তাঁরা উদযাপনে বিশ্বাস রেখেছেন। সেই উদযাপন একদিনের নয়, সারা জীবন ধরে। যে দেশে এখনও পুরুষযুগল বা নারীযুগলের বিয়ে আইনত সিদ্ধ নয় সেখানে সামাজিক রীতিনীতি মেনে ধর্মীয় নিয়ম পালন করে এই বিয়ে কার্যত এদেশের রক্ষণশীল সমাজকে একটা আধুনিক বার্তা দিয়ে দিল। সেই বার্তা নয় শুধু, ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’, সে বার্তা অবশ্যই, ‘হাসছি মোরা হাসছি দেখ হাসছি মোরা আহ্লাদি’।

এদেশে পুরুষে পুরুষে প্রেম বিরল মোটেও নয়। নানা সমীক্ষাতে ধরা পড়েছে এদেশে খুব কম করেও ১০ শতাংশ পুরুষের জীবনে এমন ঘটনা ঘটে। যারা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও নিজেদের ঘনিষ্ঠ মহলে স্বীকার করেন সেই প্রেমের সম্পর্ককে। কিন্তু সাহস করে তা তাঁরা প্রকাশ্যে আনেন না। যততা না লজ্জায়, তার থেকেও বেশি ভয়ে। কেন না এ দেশ গণপিটুনির বিশ্বরাজধানী। পিটিয়ে মেরে ফেলা বা জলজ্যান্ত আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া কিং নিবেদন পক্ষে গ্রামছাড়া, বাড়িছাড়া করার মতো ঘটনা হামেশাই ঘটে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেক পুরুষই পারেন না তাঁর মনের পুরুষকে নিয়ে ঘর বাঁধতে। অভিষেক-চৈতন্য সেখানেই জিতে গিয়েছেন। তাঁরা সাহস করে বিয়ে করিয়ে দেখিয়েছেন। নেটিজেনদের কাছ থেকে কুর্ণিশ আদায় করে নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে দেখাচ্ছেন, দিন বদলাচ্ছে। ভারতে বাড়ছে দুই পুরুষের বিবাহ। আজ না হোক, ৩০-৪০ বছর পরে কলকাতার বুকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে দুই বাড়ির সহমতের ভিত্তিতে দুই বাঙালি যুবকের চারহাত এক হওয়ার ঘটনা ঘটলে অবাক হয়ে যাবেন না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভোজন রসিক রবি ঠাকুরের প্রিয় পদ! জেনে নিন ঠাকুরবাড়ির হেঁশেল কথা

রাজ্য জুড়ে পালিত রবীন্দ্র জয়ন্তী, বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মমতার

স্বস্তির বৃষ্টি, একধাক্কায় অনেকটাই কমল বঙ্গের তাপমাত্রা

উল্টোডাঙ্গা ফ্লাইওভারে চলন্ত গাড়িতে ভয়ংকর আগুন, ব্যাপক যানজট ভিআইপি রোডে

সুপ্রিম রায়ের পরে আবির খেললেন শিক্ষকরা, কলকাতায় ফলের জুস খেয়ে অনশন ভঙ্গ

‘সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় মেলায় খুশি’, এসএসি মামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর