এই মুহূর্তে

ছটের ভিড় আর শব্দবাজির দৌরাত্ম্য সামলাতে শহর কলকাতার পথে বাড়তি পুলিশ

Courtesy - Twitter and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই ছটপুজো(Chhath Puja)। দিনকয়েক আগেই কালীপুজোয় লাগামছাড়া বেআইনি শব্দবাজির(Sound Crackers) তাণ্ডবের সাক্ষী থাকতে হয়েছে শহরবাসীকে। পুলিশের(Police) তরফে ব্যবস্থা, নজরদারির দাবি করা হলেও বাস্তব অভিজ্ঞতা অবশ্য অন্য কথা বলেছে। কালীপুজোকে কেন্দ্র করে প্রায় চার দিন ধরে চলেছে শব্দের তাণ্ডব। বেহালা, হরিদেবপুর, কসবা, কাশীপুর, ইএম বাইপাস-সহ শহরে(Kolkata)র বিভিন্ন প্রান্তে রাত বাড়লেই বেড়েছে বেআইনি শব্দবাজির দাপট। বাজি ফাটাতে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা মানা তো হয়ইনি, উল্টে অধিকাংশ জায়গায় বাজি বিক্রির নিয়মকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খোলা বাজারে দেদার বিকিয়েছে বেআইনি বাজি। সপ্তাহভর বাজির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হতে হয়েছিল শহরবাসীকে। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই ফের আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ছট। প্রশ্ন উঠছে, দীপাবলির মতোই শহর দাপাবে না তো শব্দদানব?

আরও পড়ুন, কোর কমিটিতে আর নয় কেষ্ট’র একাধিপত্য, থাকবে অভিষেকের প্রতিনিধিও

এ বছর বাজি-দৌরাত্ম্যের লাগাম ছাড়ানোর কারণ হিসাবে পুলিশি নজরদারির ঢিলেমিকেই চিহ্নিত করছেন সচেতন শহরবাসীর অনেকে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এই ঢিলেমির ‘ফল’ ছটেও ভুগতে হবে না তো? প্রতি বছর দীপাবলির পাশাপাশি ছটকে কেন্দ্র করেও শহরে শব্দবাজির তাণ্ডবের অভিযোগ ওঠে। পুলিশের সামনেই তাণ্ডব চলে বলে অভিযোগ। শুধু শব্দবাজি নয়, সেই সঙ্গে যুক্ত হয় ডিজের দাপট। বিশেষত, গঙ্গা এবং ছটের জন্য তৈরি অস্থায়ী পুকুর চত্বরে ভোর থেকে দেদার বাজি ফাটানো হয় বলে অভিযোগ। গত বছর এর থেকে বাদ পড়েনি হাসপাতাল চত্বরও। ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতাল চত্বরের জলাশয়ে দেদার বাজি ফাটানোর দৃশ্য ধরা পড়েছিল। একই ছবি ছিল সুভাষ সরোবর সংলগ্ন এলাকা-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। এ বছরও সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। লালবাজারের তরফে যদিও নজরদারির আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। ছটকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতি ও শুক্রবার অতিরিক্ত ৩৭০০ জন পুলিশকর্মীকে রাস্তায় নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গঙ্গার ঘাট-সহ শহরের ১৩৩টি জায়গায় ছট পালিত হবে। প্রতিটি জায়গায় পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়েও থাকবে পুলিশি বন্দোবস্ত। বিভিন্ন ছোট পুকুর, ঘাট, অস্থায়ী ঘাট মিলিয়ে ১০০টি জায়গায় ছটপুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই সমস্ত এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে স্থানীয় থানা।

আরও পড়ুন, চোখের অপারেশনের পরে চলতি সপ্তাহ থেকেই ফের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু অভিষেকের

ছটপুজো উপলক্ষ্যে শহরজুড়ে মোট ৫ হাজার বাড়তি ফোর্স(Extra Force) মোতায়েন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপট রুখতেও তৎপর পুলিশ। ঘাট চত্বরে সাদা পোশাকের পুলিসশ বাহিনী মোতায়েন করেছে লালবাজার। পুলিস সূত্রে খবর, ছটপুজো দিতে যাওয়ার সময় ছোট ছোট লরি থেকে শব্দবাজি ছুড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদালতের নির্দেশে এবারেও রবীন্দ্র সরোবর আর সুভাষ সরোবর ছট পুজোয় ব্যবহার করা যাবে না। বুধবার থেকেই সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে এই দুই সরোবর। আজ রাত ৮টার পর সরোবরের সব ক’টি গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে ফের সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে সরোবর। দুই সরোবরের নিরাপত্তায় প্রায় ১৫০ পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করছে লালবাজার। সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের ১ জন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে থাকছে বিশেষ পাহারা। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে, জেলায় কুয়াশার প্রভাব থাকবে

মানিকতলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্লাবঘরে একাধিকবার ধর্ষণ যুবতীকে

তরুণ ক্রিকেটারের রহস্যমৃত্যু, এসএসকেএমে বিক্ষোভ পরিবারের

টার্গেট অভিজাত আবাসন, চায়ের দোকানে বসেই মাত্র ১৯ বছরেই লক্ষাধিক টাকার মালিক

ফের পশ্চিমি ঝঞ্ঝার দাপট, কবে মিলবে শীতের আমেজ, বড় আপডেট হাওয়া অফিসের  

নিউমার্কেট এলাকায় বেআইনি হকারদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামল কলকাতা পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর